ATN
শিরোনাম
  •  

সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’ কী চায়? তাদের পেছনে কারা?

         

হামাস

ইসরায়েলের দিকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ৭ হাজার রকেট ছুঁড়ে বেশ আলোচনায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী -হামাস। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয় এই সংগঠনটি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো হামাসকে মনে করে সন্ত্রাসী সংগঠন। তবে অনেক সংবাদমাধ্যম এটিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসানের দাবিতে ‘ইন্তিফাদা’ বা ফিলিস্তিনি গণজাগরণ শুরুর পর, ১৯৮৭ সালে গঠিত হয় হামাস। কট্টর ইসরায়েলবিরোধী আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমাদ ইয়াসিনের নেতৃত্বে সংগঠনটির যাত্রা শুরু। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগ্রামের নেতৃত্ব দেয় হামাস। এই মুহুর্তে দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইসমাইল হানিয়া।

গাজা উপত্যকায় হামাস আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নীতিগতভাবে প্রয়াত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের স্বাধীনতাপন্থী সংস্থা পিএলও’র বিরোধিতা করে আসছে দলটি। সংগঠনটির সনদ অনুযায়ী, ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে অঙ্গীকারবদ্ধ তারা। হামাসের প্রধান দুটি উদ্দেশ্য। প্রথমত: সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাশেম ব্রিগেডসের মাধ্যমে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। দ্বিতীয়ত: ফিলিস্তিনে বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা।

২০০৬ সালে গাজা উপত্যকার সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে হামাস। এরপর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন ফাতাহর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ২০০৭ সালের জুনে গাজায় হামাস ও ফাতাহ’র মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই বেধে যায়। এরপর হামাস গাজায় সরকার গঠন করে। এখনো গাজার শাসনক্ষমতায় তারা। তবে পশ্চিম তীরের শাসনক্ষমতা রয়েছে ফাতাহ’র হাতে।

গাজা ভূখন্ডের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষা ও স্বাধীনতার দাবিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে হামাস। ২০০৮-০৯, ২০১২, ২০১৪ ও ২০২১ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র যুদ্ধে জড়ায় দলটি। কয়েকটি যুদ্ধে জোরালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতেও সক্ষম হয় হামাস। তাদের বড় পৃষ্ঠপোষক মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার।

২০১২ সালে প্রথম রাষ্ট্রনেতা হিসেবে হামাসের সঙ্গে বৈঠক করেন, কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি। সংগঠনটির আরেক পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক। এছাড়া ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পায় বলে ধারণা করা হয়। হামাসকে সমর্থন দেয় লেবাননের গেরিলা সংগঠন হেজবুল্লাহ’ও।

ডেস্ক রিপোর্ট : সুদীপ ঘোষ।
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বিশ্ব সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ