ATN
শিরোনাম
  •  

হামাস-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় বহু প্রাণহানি

         

ইসরায়েল

২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছুড়ে ইসরায়েলকে কাঁপিয়ে দেয়া ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। হামাসের হামলায় অন্তত ২৫০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের পাল্টা অভিযানে মারা গেছেন অন্তত ২৩৫ ফিলিস্তিনি। রোববার (৮ অক্টোবর) বসছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন।

ইসরায়েলি দখলদারিত্ব অবসানের লক্ষ্যে শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ করেই দেশটিতে রকেট হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠB হামাস। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ২০ মিনিটে ৫ হাজারের বেশি রকেট ছুড়ে ইসরায়েলকে কাঁপিয়ে দেয় তারা। মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিভিন্ন স্থাপনা, ঘরবাড়ি ধ্বংসের পাশাপাশি প্রাণহানি হয় বহু মানুষের। অপারেশন আল আকসা ফ্লাডের অংশ হিসেবে হামাসের যোদ্ধারা সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েল ভূখন্ডে ঢোকে হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে অনেকেই হতাহত হন।

বিধ্বস্ত ট্যাংক থেকে ইসরায়েলি সেনাদের টেনেহিঁচড়ে বের করতে দেখা যায়। বেশ কয়েকজন সেনাসদস্য ও বেসামরিক নাগরিককে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করে হামাস। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল করেন তারা। হামাস বলছে, এই হামলা হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে, অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে। এই হামলা আল আকসার পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য। ইসরায়েলের সঙ্গে যেসব আরব দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে এবং করার উদ্যোগ নিয়েছে তাদের জন্যও এ হামলা কঠোর বার্তা বলে জানিয়েছে হামাস।

ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। অভিনন্দন জানিয়ে হামাসের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ইরান। এই সহিংসতার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করলেও, উভয়পক্ষকে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব, কাতার, মিশর, তুরস্ক ও রাশিয়া। আকস্মিক হামলায় ক্ষুব্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন : তারা এখন যুদ্ধের মধ্যে রয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, শত্রুরা এমন মূল্য দেবে যা তারা ভাবতেও পারছে না। তার এমন কঠোর বার্তার পরপরই পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় হামাসের অবস্থান লক্ষ্য করে আকাশ ও স্থলপথে হামলা জোরদার করে তারা। এতে কয়েকশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি, ইউক্রেন ও ভারত। তবে, প্রাণে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বহু ফিলিস্তিনি পরিবার। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে শুধু মৃত্যুর মিছিলই দীর্ঘ হচ্ছে, আসছে না কোনো সমাধান।

ডেস্ক রিপোর্ট : শাওন মাহফুজ।
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বিশ্ব সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ