ATN
শিরোনাম
  •  

পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে

         
পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত, টানা তিন দিন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রিতে

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা প্রতিদিনই বাড়ছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জেলার জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে গেছে। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই ওঠানামা করার পর তেঁতুলিয়ায় টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯২ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই দৃশ্যমানতা কমে গিয়ে সড়কে যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে হয়।

শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোর ও রাতে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। অনেকেই ভোরবেলা খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন, শ্রমজীবী মানুষের কাছে এই আগুনই এখন ভরসা। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের বেলায় রোদ থাকলেও ভোরের প্রচণ্ড ঠান্ডা শ্রমজীবী মানুষের জন্য বাড়তি কষ্ট তৈরি করেছে।

রাতভর কুয়াশা ঝরে বৃষ্টির মতো। সকালের দিকেও কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে পথঘাট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। তীব্র এই শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে পঞ্চগড়ের জনজীবনে।

গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা একটু বেশি। সূর্যের দেখে মিললেও তেজ নেই তেমন। হাড়কাঁপানো শীতে জুবুথুবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারো বাড়ছে শীতের দাপট।

সকালে রাস্তায় লোকজন কম থাকে, তাই রোজগারও কমে গেছে পরিবহন চালকদের।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, টানা তিন দিন তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড কারা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে, যা সামনে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/সা.সি
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ