এনসিপি এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এককভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে মৃত্যুবরণকারী শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে খুব স্পষ্টভাবেই এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের সংস্কার ও জুলাই সনদের দাবির সঙ্গে কোনো দল সংহতি প্রকাশ করলে জোটের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে লড়বেন। এসব আসনে এনসিপি কোনো প্রার্থী নাও দিতে পারে। বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের সম্মানে আমরা প্রার্থী নাও দিতে পারি।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে চাই। আমরা দেখি, যাদের টাকা আছে, যারা এলাকার গডফাদারগিরি করেন, তারাই নির্বাচন করেন। একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার শিক্ষক রয়েছেন, ইমাম রয়েছেন, গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে—তাদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।
তিনি বলেন, গাজী সালাউদ্দিন ভাই আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তিনি আন্দোলনের সময় আহত হন, তার গলায় একটি স্প্লিন্টার ছিল, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তিনি এতগুলো দিন বেঁচে ছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর তিনি মারা যান। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে আমরা জানতে পারি, তিনি বিএনপির কিছু কর্মীর দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এ রকম জুলাই যোদ্ধারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছেন— যারা আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, দেহে এখনো স্প্লিন্টার বহন করছেন। তারা আজও চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে। এই পরিবারগুলোর আত্মত্যাগের কারণেই তো আমরা গণঅভ্যুত্থানে সফল হয়েছিলাম। আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করতে পেরেছিলাম এবং বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি।
এ সময় শাপলা কলির বিজয়ের জন্য তিনি জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়ে মৃত্যুবরণকারী শহীদ গাজী সালাউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার লক্ষ্যে খুব স্পষ্টভাবেই এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আমাদের সংস্কার ও জুলাই সনদের দাবির সঙ্গে কোনো দল সংহতি প্রকাশ করলে জোটের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তিনটি আসন থেকে লড়বেন। এসব আসনে এনসিপি কোনো প্রার্থী নাও দিতে পারে। বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের সম্মানে আমরা প্রার্থী নাও দিতে পারি।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা এবার বাংলাদেশের নির্বাচনের সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে চাই। আমরা দেখি, যাদের টাকা আছে, যারা এলাকার গডফাদারগিরি করেন, তারাই নির্বাচন করেন। একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে এলাকার শিক্ষক রয়েছেন, ইমাম রয়েছেন, গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে—তাদের আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চাই।
তিনি বলেন, গাজী সালাউদ্দিন ভাই আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একজন অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। তিনি আন্দোলনের সময় আহত হন, তার গলায় একটি স্প্লিন্টার ছিল, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তিনি এতগুলো দিন বেঁচে ছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর তিনি মারা যান। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে আমরা জানতে পারি, তিনি বিএনপির কিছু কর্মীর দ্বারা হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এ রকম জুলাই যোদ্ধারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে আছেন— যারা আহত হয়েছেন, চোখ হারিয়েছেন, দেহে এখনো স্প্লিন্টার বহন করছেন। তারা আজও চিকিৎসার অভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের পাশে রাষ্ট্রকে দাঁড়াতে হবে। এই পরিবারগুলোর আত্মত্যাগের কারণেই তো আমরা গণঅভ্যুত্থানে সফল হয়েছিলাম। আমরা ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করতে পেরেছিলাম এবং বাংলাদেশকে নতুনভাবে বিনির্মাণ করার স্বপ্ন দেখছি।
এ সময় শাপলা কলির বিজয়ের জন্য তিনি জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
