নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে জনমত জরিপে এগিয়ে মামদানি
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। সর্বশেষ জনমত জরিপগুলোতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোর চেয়ে স্পষ্টভাবেই এগিয়ে আছেন।
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন মঙ্গলবার। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই শহরে প্রথমবার এমন একজন মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির চলতি ধারার একদম বিপরীতমুখী। যিনি দক্ষিণ এশীয়, মুসলিম, প্রগতিশীল এবং নিজেকে সমাজতন্ত্রী বলতে দ্বিধা করেন না।
নিউইয়র্কের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মুখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। সাত বছর বয়সে নিউইয়র্কে আসা মামদানি, ২০২১ সাল থেকে নিউইয়র্ক রাজ্য বিধানসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জোহরান মামদানির সমর্থনের ভিত্তি হলো তরুণ ভোটার বা জেন-জি' প্রজন্ম, শ্রমজীবী মানুষ এবং প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অফ আমেরিকা এবং ওয়ার্কিং ফ্যামিলিস পার্টির মতো বামঘেঁষা গোষ্ঠীর সমর্থন পেয়েছেন তিনি। প্রভাবশালী প্রগতিশীল রাজনীতিবিদরা তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন।
তার হাউজিং, গণপরিবহন বিনামূল্যে করা ও সর্বজনীন শিশুযত্নের মতো নীতিগুলো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে মামদানিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার স্পষ্ট সমর্থন সত্ত্বেও প্রগতিশীল ইহুদি ধর্মযাজক ও বামপন্থী ইহুদি গোষ্ঠীগুলোও তাকে সমর্থন জানাচ্ছে। সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, যা তার জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও প্রথাগত ডেমোক্র্যাটিক নেটওয়ার্কের ওপর ভরসা করছেন। প্রাথমিক নির্বাচনে হারলেও, নিজেকে 'মধ্যপন্থী' হিসেবে তুলে ধরছেন তিনি।
অ্যান্ড্রু কুওমোর সমর্থকরা মূলত প্রবীণ ভোটার, যারা নিউইয়র্ককে নিরাপদ রাখতে অভিজ্ঞ নেতৃত্ব চান। অনেক রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাট কুওমোকে একজন কার্যকর নেতা হিসেবে দেখেন, যিনি কঠিন সময়ে নিউইয়র্ককে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাচনে একজন অদৃশ্য প্রার্থী। কুমোর পক্ষ নিয়ে তিনিও এই নির্বাচনের একজন অংশগ্রহণকারী। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনোভাবেই চান না মামদানি এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হোক। তাঁর বিবেচনায় মামদানি শুধু কমিউনিস্টই নন, রীতিমতো উন্মাদ। এমন একজনকে নির্বাচিত করলে ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
কুমো মামদানিকে কমিউনিস্ট’ ও ইহুদিবিদ্বেষী হিসেবে প্রচার চালানো সত্ত্বেও মামদানি জনমত জরিপে এগিয়ে। নিউইয়র্কের ভোটাররা অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা চান, নাকি প্রগতিশীল পরিবর্তনের পক্ষে থাকবেন, তা জানতে অপেক্ষা আর মাত্র একদিন।
রিপোর্ট : সানজিদা সিলভিয়া / সা. সি
নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন মঙ্গলবার। বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই শহরে প্রথমবার এমন একজন মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারেন, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির চলতি ধারার একদম বিপরীতমুখী। যিনি দক্ষিণ এশীয়, মুসলিম, প্রগতিশীল এবং নিজেকে সমাজতন্ত্রী বলতে দ্বিধা করেন না।
নিউইয়র্কের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন মুখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি। সাত বছর বয়সে নিউইয়র্কে আসা মামদানি, ২০২১ সাল থেকে নিউইয়র্ক রাজ্য বিধানসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জোহরান মামদানির সমর্থনের ভিত্তি হলো তরুণ ভোটার বা জেন-জি' প্রজন্ম, শ্রমজীবী মানুষ এবং প্রগতিশীল ডেমোক্র্যাটরা। ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অফ আমেরিকা এবং ওয়ার্কিং ফ্যামিলিস পার্টির মতো বামঘেঁষা গোষ্ঠীর সমর্থন পেয়েছেন তিনি। প্রভাবশালী প্রগতিশীল রাজনীতিবিদরা তাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন।
তার হাউজিং, গণপরিবহন বিনামূল্যে করা ও সর্বজনীন শিশুযত্নের মতো নীতিগুলো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার, বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় ও মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে মামদানিকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার স্পষ্ট সমর্থন সত্ত্বেও প্রগতিশীল ইহুদি ধর্মযাজক ও বামপন্থী ইহুদি গোষ্ঠীগুলোও তাকে সমর্থন জানাচ্ছে। সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন, যা তার জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও প্রথাগত ডেমোক্র্যাটিক নেটওয়ার্কের ওপর ভরসা করছেন। প্রাথমিক নির্বাচনে হারলেও, নিজেকে 'মধ্যপন্থী' হিসেবে তুলে ধরছেন তিনি।
অ্যান্ড্রু কুওমোর সমর্থকরা মূলত প্রবীণ ভোটার, যারা নিউইয়র্ককে নিরাপদ রাখতে অভিজ্ঞ নেতৃত্ব চান। অনেক রক্ষণশীল ডেমোক্র্যাট কুওমোকে একজন কার্যকর নেতা হিসেবে দেখেন, যিনি কঠিন সময়ে নিউইয়র্ককে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাচনে একজন অদৃশ্য প্রার্থী। কুমোর পক্ষ নিয়ে তিনিও এই নির্বাচনের একজন অংশগ্রহণকারী। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনোভাবেই চান না মামদানি এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হোক। তাঁর বিবেচনায় মামদানি শুধু কমিউনিস্টই নন, রীতিমতো উন্মাদ। এমন একজনকে নির্বাচিত করলে ট্রাম্প নিউইয়র্ক সিটির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
কুমো মামদানিকে কমিউনিস্ট’ ও ইহুদিবিদ্বেষী হিসেবে প্রচার চালানো সত্ত্বেও মামদানি জনমত জরিপে এগিয়ে। নিউইয়র্কের ভোটাররা অভিজ্ঞতার ধারাবাহিকতা চান, নাকি প্রগতিশীল পরিবর্তনের পক্ষে থাকবেন, তা জানতে অপেক্ষা আর মাত্র একদিন।
রিপোর্ট : সানজিদা সিলভিয়া / সা. সি
