ATN
শিরোনাম
  •  

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জটিলতা, প্রশ্নে সিটি কর্পোরেশন

         
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জটিলতা, প্রশ্নে সিটি কর্পোরেশন

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জটিলতা, প্রশ্নে সিটি কর্পোরেশন

নানা চেষ্টার পরেও থামানো যাচ্ছে না ডেঙ্গু সংক্রমণ। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গৃহীত কার্যক্রম নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের দিকে প্রশ্ন তুলছেন রাজধানীবাসী। কীটতত্ত্ববিদদের মতে, জনগণের সচেতনতার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের মনিটরিং আরও জোরদার করা জরুরি। অন্যদিকে, জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

বৃষ্টি হলেই যেন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলে। চলছে নভেম্বর মাস, তবু দেশের বিভিন্ন জেলায় এখনো ডেঙ্গু আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় মশার দাপট এখন আর ঋতুভিত্তিক নয়, বরং বছরজুড়ে চলমান এক নাগরিক সংকটে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলায় রোগবাহী এডিস এবং সন্ধ্যার পর কিউলেক্স মশার আক্রমণে অতিষ্ঠ নগরবাসী।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুর ঘুরে জানা গেছে, ডেঙ্গু আতঙ্কে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। সচেতনতা বাড়লেও কমছে না এডিস মশার প্রজনন। তাদের অভিযোগ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বহীনতার দিকে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৮৩ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭১ হাজার ৬৭৫জনের বেশি রোগী। এর মধ্যে শুধু অক্টোবর মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫২০ জন যা এ বছরের সর্বোচ্চ।

কীটতত্ত্ববিদ জানান, নাগরিক সচেতনতার পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের মনিটরিং অত্যন্ত জরুরি। ডাবের খোলস, চিপসের প্যাকেট থেকে এডিস মশা সংক্রমণ শুরু।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের, জনবল ঘাটতি থাকার পরেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত।

এছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নগরবাসীর সচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণই হতে পারে স্থায়ী সমাধান বলে মনে করেন, ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা।

নগরীর প্রতিটি বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে খোলা স্থান সবখানে মশার প্রজনন রোধে সচেতনতা জরুরি। না হলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

রিপোর্ট : তৌ. হা. / সা. সি
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ