যাত্রীবাহী বাসে মিলল ৩৫ মণ জাটকা, ৬ চালককে জরিমানা
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঢাকাগামী ৬টি বাসে অভিযান চালিয়ে ৩৫ মণ জাটকা জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বাসগুলোর ৬ চালককে ২ হাজার টাকা করে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক। এ সময় মৎস্য বিভাগ ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃত বাস চালক রুবেল হোসেন বলেন, আমি জানতাম না আমার গাড়িতে জাটকা রয়েছে। তারা যখন মাছ উঠায় তখন আমাদের বলে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। জাটকা ইলিশ রয়েছে তা আগে বললে আমরা এ মাছ নিতাম না।
অভিযান চলাকালে প্রতিটি পরিবহনে বিশেষ তল্লাশি চালিয়ে একাধিক বস্তায় ভরা ছোট আকারের ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, জব্দ করা মাছগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল গড়ে ১০ ইঞ্চি, যা স্পষ্টতই জাটকা হিসেবে শনাক্ত হয়।
পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানা, মাদরাসা ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদিক বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ৮ মাসের জন্য জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ১ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। কেউ এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৎস্য কর্মকর্তারা আরও জানান, জাটকা সংরক্ষণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অল্প বয়সী জাটকা ধরা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ / সা. সি
রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদীক। এ সময় মৎস্য বিভাগ ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আটককৃত বাস চালক রুবেল হোসেন বলেন, আমি জানতাম না আমার গাড়িতে জাটকা রয়েছে। তারা যখন মাছ উঠায় তখন আমাদের বলে সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। জাটকা ইলিশ রয়েছে তা আগে বললে আমরা এ মাছ নিতাম না।
অভিযান চলাকালে প্রতিটি পরিবহনে বিশেষ তল্লাশি চালিয়ে একাধিক বস্তায় ভরা ছোট আকারের ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। মৎস্য কর্মকর্তারা জানান, জব্দ করা মাছগুলোর দৈর্ঘ্য ছিল গড়ে ১০ ইঞ্চি, যা স্পষ্টতই জাটকা হিসেবে শনাক্ত হয়।
পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় বিভিন্ন এতিমখানা, মাদরাসা ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন সাদিক বলেন, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ৮ মাসের জন্য জাটকা ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ১ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। কেউ এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৎস্য কর্মকর্তারা আরও জানান, জাটকা সংরক্ষণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু অল্প বয়সী জাটকা ধরা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে ইলিশের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ / সা. সি
