গ্রেপ্তার এড়াতে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিরা: অবস্থান পরিবর্তন করছেন বারবার
গ্রেপ্তার এড়াতে বারবার অবস্থান পরিবর্তন করছেন চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিরা। বাংলাদেশে অবস্থান করা আসামিরা এছাড়াও নানা কৌশল নিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে আশা রমনা থানা পুলিশের।
ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার প্রায় দু সপ্তাহ পরও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার তদন্ত তদারকে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন-আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। এরপরও তাহলে আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন ছিলো এই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১১ জন। পুলিশের তথ্য মতে, এই মামলায় পলাতক আসামির সংখ্যাই বেশি। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামির মধ্যে আছেন- চলচ্চিত্রের রহস্যপুরুষ ও প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। পলাতক আসামির তালিকায় আছেন লতিফা হক লিউ ওরফে লুসি। জনৈক ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রমনার সে সময়কার মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ। তবে মামলার প্রধান আসামি সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক ও ঢাকাই ছবির ভিলেন হিসেবে আশরাফুল হক ডন দেশেই অবস্থান করছেন বলে পুলিশের ধারণা।
থানায় হত্যা মামলা দায়েরের আগে সবশেষ সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে পিবিআই। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্থাটি। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণের কথাও উল্লেখ করে পিবিআই।
পরে ২০২১ সালের অক্টোবরে ‘অপমৃত্যু’র ঘটনায় করা মামলায় পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দেওয়া হয়। সেই নারাজি আবেদন মঞ্জুর করেই হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। এবার কী সালমান শাহ মৃত্যু রহস্যের জট খুলবে?
রিপোর্ট : সু. /সা. সি
ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার প্রায় দু সপ্তাহ পরও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার তদন্ত তদারকে যুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন-আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। এরপরও তাহলে আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন? প্রশ্ন ছিলো এই পুলিশ কর্মকর্তার কাছে।
সালমান শাহ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ১১ জন। পুলিশের তথ্য মতে, এই মামলায় পলাতক আসামির সংখ্যাই বেশি। বিদেশে পালিয়ে থাকা আসামির মধ্যে আছেন- চলচ্চিত্রের রহস্যপুরুষ ও প্রযোজক আজিজ মোহাম্মদ ভাই। পলাতক আসামির তালিকায় আছেন লতিফা হক লিউ ওরফে লুসি। জনৈক ডেভিড, জাভেদ, ফারুক, রমনার সে সময়কার মেফিয়ার বিউটি সেন্টারের রুবি, আবদুস সাত্তার, সাজু ও রেজভী আহমেদ ফরহাদ। তবে মামলার প্রধান আসামি সালমান শাহের স্ত্রী সামিরা হক ও ঢাকাই ছবির ভিলেন হিসেবে আশরাফুল হক ডন দেশেই অবস্থান করছেন বলে পুলিশের ধারণা।
থানায় হত্যা মামলা দায়েরের আগে সবশেষ সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে পিবিআই। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সংস্থাটি। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণের কথাও উল্লেখ করে পিবিআই।
পরে ২০২১ সালের অক্টোবরে ‘অপমৃত্যু’র ঘটনায় করা মামলায় পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন জমা দেওয়া হয়। সেই নারাজি আবেদন মঞ্জুর করেই হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। এবার কী সালমান শাহ মৃত্যু রহস্যের জট খুলবে?
রিপোর্ট : সু. /সা. সি
