ATN
শিরোনাম
  •  

গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন নোশিন

         
গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন নোশিন

গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন নোশিন

জাতীয় মহিলা দাবায় টানা তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদে মাস্টার নোশিন আনজুম। ১১ রাউন্ডের খেলায় তিনটি ম্যাচে ড্র, একটি হার ও সাতটিতে জয় পয়েছেন নোশিন। সব মিলিয়ে সাড়ে আট পয়েন্ট পেয়ে হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) শেষ রাউন্ডে নোশিনের প্রয়োজন ছিল ড্র। প্রতিপক্ষ ওয়ারসিয়া খুশবুর সঙ্গে ছয় চালেই ড্র করেন। গতবারের চ্যাম্পিয়ন নোশিন এবার ছয় রাউন্ড পর্যন্ত পিছিয়ে ছিলেন কুমিল্লা জেলার নুসরাত জাহান আলোর কাছে। তবে শেষ পযন্ত দারুণভাবে ফিরে আসেন দাবার বোর্ডে। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। তবে এবার শিরোপা ধরে রাখা কতটা কঠিন ছিল ম্যাচ শেষে সেটাই বললেন তিনি।

২০১৬ সাল থেকে জাতীয় মহিলা দাবা খেলছেন নোশিন। ২০২২ সালে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হন। পরের বছর খেলা হয়নি। গত বছরের পর এবারও চ্যাম্পিয়ন। নোশিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনায় যেমন সময় দেন পাশাপাশি দাবা খেলার জন্যও আলাদা সময় বের করেন নোশিন। তিনি জানান দুটো বিষয়ের সমন্বয় করতে কোনও সমস্যা হয় না।

টানা তিন বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হলেও নোশিন এখনো ফিদে মাস্টার। দু’টি আন্তর্জাতিক মাস্টার নর্ম রয়েছে তার। মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার হতে এখনো আরেকটি নর্ম ও ২২০০ রেটিং প্রয়োজন। তার বর্তমান রেটিং ১৯৯০। নিজের রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বেশি বেশি টুর্নামেন্ট খেলতে চান নোশিন। লক্ষ্য দ্রুতই ২২০০ রেটিং পার করা।

রেটিং কম হলেও নোশিনই বাংলাদেশের সেরা নারী দাবাড়ু। তার স্বপ্ন মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার নয়, গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়া। সেই গ্র্যান্ডমাস্টার হতে নর্ম, রেটিং দুটোই বাড়াতে হবে। এজন্য দেশের বাইরে বেশি বেশি খেলতে হবে। আর্থিক সীমাবদ্ধতায় সেটা সব সময় সম্ভব হয় না নোশিনের। তাই সরকার ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে তিনি।

শত প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও দাবার সাদাকালো বোর্ডে রঙিন স্বপ্ন বুনে চলেছেন নোশিন। কিন্তু আফসোস একটাই এখনও কোনও ভালো মানের কোচের অধীনে অনুশীলন করতে পারেন না। বিদেশে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে গিয়ে অন্য দেশের দাবাড়ুদের সঙ্গে কোচ দেখে আফসোসে পোড়েন।

শত বাধা-বিপত্তি, সীমিত সুযোগ আর অনুশীলনের ঘাটতি—কোনও কিছুই থামাতে পারেনি নোশিন আনজুমকে। নিজের মেধা, অধ্যবসায় আর অদম্য ইচ্ছাশক্তি দিয়ে তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন, প্রতিটি দাবার চালেই লুকিয়ে থাকে সাফল্যের গল্প। জাতীয় দাবায় হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে এখন তার চোখ বিশ্ব দাবার মঞ্চে। গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার স্বপ্নই নোশিনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে আরও সামনের দিকে।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট খেলা সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ