ঐকমত্য কমিশন 'নোট অব ডিসেন্ট' বাদ দিয়ে প্রতারণা করেছে: মির্জা ফখরুল
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সুপারিশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বিচার-সংস্কার-নির্বাচন, অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ' শীর্ষক এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, সমস্ত সংকটগুলোর মূলে হচ্ছে একটা সত্যিকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে, সেই পার্লামেন্টেই সমস্ত সমস্যাগুলো সংবিধানের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে এবং সেভাবেই দেশ চলবে। সত্যিকার অর্থে যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। জনগণ সেই নির্বাচনের ফল মেনে নেবে। কিন্তু যদি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়, তার দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকেই বহন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন হবে। বিএনপি সংস্কার চায় না—এমন প্রচারণা মিথ্যা। বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্যদিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর একদলীয় শাসনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল বিএনপি। অথচ কনসাসলি একটা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে যে বিএনপি সংস্কারবিরোধী—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ সময় সরকার দ্রুত কমিশনের সুপারিশ সংশোধন করবে এবং সব পক্ষের সহমত অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যার উপর পার্থক্য যথাযথভাবে রেকর্ড করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে 'বিচার-সংস্কার-নির্বাচন, অন্তর্বর্তী আমলে বাংলাদেশ' শীর্ষক এক প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গতকাল জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, বিএনপির নোট অব ডিসেন্ট লিপিবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল সনদে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এগুলো দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি, সমস্ত সংকটগুলোর মূলে হচ্ছে একটা সত্যিকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে, সেই পার্লামেন্টেই সমস্ত সমস্যাগুলো সংবিধানের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হবে এবং সেভাবেই দেশ চলবে। সত্যিকার অর্থে যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিন। জনগণ সেই নির্বাচনের ফল মেনে নেবে। কিন্তু যদি সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হয়, তার দায়ভার প্রধান উপদেষ্টাকেই বহন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে জনগণের সংসদ তৈরি হলে যে সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা সেখানে বাস্তবায়ন হবে। বিএনপি সংস্কার চায় না—এমন প্রচারণা মিথ্যা। বিএনপির জন্মই হয়েছে সংস্কারের মধ্যদিয়ে। মুক্তিযুদ্ধের পর একদলীয় শাসনের পরিবর্তন ঘটিয়ে ৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল বিএনপি। অথচ কনসাসলি একটা প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছে যে বিএনপি সংস্কারবিরোধী—এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ সময় সরকার দ্রুত কমিশনের সুপারিশ সংশোধন করবে এবং সব পক্ষের সহমত অনুযায়ী বিভিন্ন সমস্যার উপর পার্থক্য যথাযথভাবে রেকর্ড করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
