৯০ বছরের পুরাতন নারায়ণগঞ্জের খোলা মসজিদ নিয়ে কেউ বলেন, দরজা-জানালাবিহীন মসজিদ। তবে প্রকৃত নাম আদমজী জামে মসজিদ। ৯০ বছরের পুরাতন মসজিদটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আদমজী সোনামিয়া বাজারের বিহারী ক্যাম্পে অবস্থিত। কালের স্বাক্ষী ঐতিহাসিক মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে এবং নির্মাণশৈলী দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
১৯৩৫ সালে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল— আদমজমী জুট মিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় এর প্রতিষ্ঠা বলে জানা যায়। শ্রমিক কর্মকর্তাদের ইবাদতের জন্য সোনামিয়া বাজারের বিহারী ক্যাম্পে, দুই একর জায়গাজুড়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করেন তৎকালীন ২২ পরিবারের অন্যতম গুল মোহাম্মদ আদমজী।
৪৫০০ বর্গফুটের মসজিদ ভবনটি নির্মিত হয়েছে ৭০টি পিলারের ওপর। শীর্ষে ছোট ছোট আটটি গম্বুজবেষ্টিত একটি বড় গম্বুজ। তিন দিকেই বারান্দা। ১৮টি প্রবেশপথের কোনোটাতেই পাল্লা বা দরজা নেই। দিন-রাতের যে কোনো সময় নামাজ পড়তে পারেন মুসল্লিরা। এক সাথে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে পারেন। যতই গরম পড়ুক, মসজিদে ভিতরটা সব সময়ই স্বস্তিকর শীতল।
২০০২ সালের ৩০ জুন মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েন মুসল্লিরা। পরে হাল ধরেন এলাকাবাসী।
সরকারি ও বেসরকারি অনুদান না থাকায় এলাকার মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে মসজিদটি। নারায়ণগঞ্জের ইতহাসের অন্যতম নিদর্শন খোলা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান তাদের।
রিপোর্ট : আ. / সা. সি
১৯৩৫ সালে এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল— আদমজমী জুট মিল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় এর প্রতিষ্ঠা বলে জানা যায়। শ্রমিক কর্মকর্তাদের ইবাদতের জন্য সোনামিয়া বাজারের বিহারী ক্যাম্পে, দুই একর জায়গাজুড়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করেন তৎকালীন ২২ পরিবারের অন্যতম গুল মোহাম্মদ আদমজী।
৪৫০০ বর্গফুটের মসজিদ ভবনটি নির্মিত হয়েছে ৭০টি পিলারের ওপর। শীর্ষে ছোট ছোট আটটি গম্বুজবেষ্টিত একটি বড় গম্বুজ। তিন দিকেই বারান্দা। ১৮টি প্রবেশপথের কোনোটাতেই পাল্লা বা দরজা নেই। দিন-রাতের যে কোনো সময় নামাজ পড়তে পারেন মুসল্লিরা। এক সাথে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ মসজিদটিতে নামাজ আদায় করতে পারেন। যতই গরম পড়ুক, মসজিদে ভিতরটা সব সময়ই স্বস্তিকর শীতল।
২০০২ সালের ৩০ জুন মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ নিয়ে বিপাকে পড়েন মুসল্লিরা। পরে হাল ধরেন এলাকাবাসী।
সরকারি ও বেসরকারি অনুদান না থাকায় এলাকার মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে মসজিদটি। নারায়ণগঞ্জের ইতহাসের অন্যতম নিদর্শন খোলা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান তাদের।
রিপোর্ট : আ. / সা. সি