কারাগারে থাকা বন্দিদের জামিন পাওয়ার পরও সঠিক সময়ের মধ্যে আদেশ না পৌঁছানোয় বিভিন্ন সময়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় আসামিদের। এ নিয়ে সুখবর দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। এছাড়া প্রতিটি ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয় আসামির আত্মীয়-স্বজনকে। তাই এসব নিরসনে কাল বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা পাঠানো হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে চলে যাবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরাই করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়াই। বুধবার অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করবো। বর্তমান পদ্ধতির জামিননামায় একজন লোককে জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে শুরু করে মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হয়। এমনকি কোনো কোনো ধাপে টাকাও দিতে হয়। এছাড়া ১২টা ধাপেই তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়।
আর এই হয়রানি নিরসনে আগামীকাল বুধবার আমরা একটা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে একটা ক্লিক করলে আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে আসামির কাছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। এজন্য কারো সহযোগিতা লাগেনি।
আইন উপদেষ্টা এটাও বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, আমাদের সরবকারের অনেক টাকা। আমার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ' কোটি টাকা আছে। আমাদের রেজিস্টার অফিসে ১৫শ' কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না। আমরা নিজের টাকা নিজে ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।’
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/টুবন
আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। এছাড়া প্রতিটি ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয় আসামির আত্মীয়-স্বজনকে। তাই এসব নিরসনে কাল বুধবার থেকে অনলাইনে জামিননামা পাঠানো হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে চলে যাবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরাই করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়াই। বুধবার অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করবো। বর্তমান পদ্ধতির জামিননামায় একজন লোককে জামিন পাওয়ার পর আদালত থেকে শুরু করে মুক্তি পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যেতে হয়। এমনকি কোনো কোনো ধাপে টাকাও দিতে হয়। এছাড়া ১২টা ধাপেই তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়।
আর এই হয়রানি নিরসনে আগামীকাল বুধবার আমরা একটা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। যেখানে একটা ক্লিক করলে আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে আসামির কাছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। এজন্য কারো সহযোগিতা লাগেনি।
আইন উপদেষ্টা এটাও বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, আমাদের সরবকারের অনেক টাকা। আমার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ' কোটি টাকা আছে। আমাদের রেজিস্টার অফিসে ১৫শ' কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না। আমরা নিজের টাকা নিজে ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।’
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/টুবন