হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য গীতিনাট্য—পদ্মপুরাণ বা মনসামঙ্গল গান। বেহুলা-লখিন্দরের জনপ্রিয় কাহিনী মূলত এই গানের প্রধান উপজীব্য। এক সময়, বর্ষা শেষের অবসরে এই গীতিনাট্য কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলের মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল। কালের বিবর্তনে বিলুপ্তির পথে বাংলা লোকসঙ্গীতের সেই ঐতিহ্যময় ধারা।
হিন্দু শাস্ত্র বা সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, মা মনসা সাপের দেবী। তার আরাধনা বা পূজা করলে সাপের দংশনরোধ হয়, মনস্কামনাও পূর্ণ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকে এই পদ্মপুরাণ গানের উৎপত্তি।
বাড়ির আঙিনায় বা ছায়া শীতল বাগানে শামিয়ানা টাঙিয়ে এ গানের আসর বসে। নেচে-গেয়ে গ্রামের মানুষদের মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা।
কবে, কিভাবে পদ্মপুরাণ গানের উৎপত্তি, বলা মুশকিল। তবে, যুগ যুগ ধরে কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলের এই সংস্কৃতি টিকে আছে। মনোবাসনা পূরণে অনেকে মানত করে মনসা গানের আসর বসান।
পদ্মপুরাণ গানের দলে ১০ থেকে ১২ জন শিল্পী থাকে। নারী চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলেন কম বয়সী পুরুষরা। কালের বিবর্তনে এ গানের কদর কমেছে। এখনো হাতে গোনা দু-একটি গানের দল কোনো রকমে টিকে রয়েছে।
অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। মানুষের মানত ও কল্যাণের কথা ভেবে, এখনো কেউ কেউ কষ্টেশিষ্টে ধরে রেখেছেন আবহমান বাংলার এই ঐহিত্য।
রিপোর্ট : সৈ. দা/টুবন
হিন্দু শাস্ত্র বা সনাতন ধর্মালম্বীদের মতে, মা মনসা সাপের দেবী। তার আরাধনা বা পূজা করলে সাপের দংশনরোধ হয়, মনস্কামনাও পূর্ণ হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস থেকে এই পদ্মপুরাণ গানের উৎপত্তি।
বাড়ির আঙিনায় বা ছায়া শীতল বাগানে শামিয়ানা টাঙিয়ে এ গানের আসর বসে। নেচে-গেয়ে গ্রামের মানুষদের মাতিয়ে রাখেন শিল্পীরা।
কবে, কিভাবে পদ্মপুরাণ গানের উৎপত্তি, বলা মুশকিল। তবে, যুগ যুগ ধরে কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলের এই সংস্কৃতি টিকে আছে। মনোবাসনা পূরণে অনেকে মানত করে মনসা গানের আসর বসান।
পদ্মপুরাণ গানের দলে ১০ থেকে ১২ জন শিল্পী থাকে। নারী চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তোলেন কম বয়সী পুরুষরা। কালের বিবর্তনে এ গানের কদর কমেছে। এখনো হাতে গোনা দু-একটি গানের দল কোনো রকমে টিকে রয়েছে।
অনেকেই এ পেশা ছেড়েছেন। মানুষের মানত ও কল্যাণের কথা ভেবে, এখনো কেউ কেউ কষ্টেশিষ্টে ধরে রেখেছেন আবহমান বাংলার এই ঐহিত্য।
রিপোর্ট : সৈ. দা/টুবন