
জুলাই সনদ ইস্যুতে গণভোটের সাংবিধানিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। কিন্তু বর্তমান সাংবিধানিক ও আইনি কাঠামোর মধ্যে গণভোট কিভাবে হবে, এই বিষয়টি এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আইনজীবীদের মধ্যে রয়েছে ভিন্নমত। কেউ বলছেন রাষ্ট্রপতির আদেশের মাধ্যমে, আবার কেউ বলছেন ১৯৯১ সালের গণভোট আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে আয়োজন করা যেতে পারে গণভোটের। বিস্তারিত জানাচ্ছেন জাবেদ আখতার।
অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালিন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেখানে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গণভোটের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তারা মনে করছে, এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। শুরুতেই জানতে হবে গণভোট আসলে কী?
বাংলাদেশের ইতিহাসে গণভোট হয়েছে তিনবার। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিশ্চিত করেন গণভোটের মাধ্যমে। একই বিষয়ে, ১৯৮৫ সালে গণভোটের আয়োজন করেন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সবশেষ গণভোট হয় ১৯৯১ সালে। রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার পর, জনগণ তা গ্রহণ করছেন কি না, তা যাচাইয়ে।
শেখ হাসিনা সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদ সংশোধন করে গণভোটের বিধান বাতিল করে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি বিধান বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেন। এতে ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করেন হাইকোর্ট। ফিরে আসে গণভোটের বিধান।
এখন প্রশ্ন হলো ১৪২ অনুচ্ছেন প্রয়োগ করে কী গণভোট করা সম্ভব?
যেহেতু সংসদ নেই, তাহলে কী উপায়ে গণভোট করা সম্ভব? এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলের মতামত হলো, ১৯৯১ সালের গণভোট আইনের কিছু সংশোধনের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।
আর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির মনে করছেন, ১৪২ অনুচ্ছেদ, ৯১ এর গণভোট আইন ও সংবিধান অনুসরণ না করে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির একটি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে গণভোট করা সম্ভব।
রুহুল কুদ্দুস বলেন, গণভোটের সিদ্ধান্ত হলে সেটি বাস্তবায়নের জন্য ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর সংশোধনও প্রয়োজন হবে। যদিও তা মানতে নারাজ শিশির মনির।
তবে সব রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন বিষয়গুলো কীভাবে বিবেচনায় নেবে, তার ওপর নির্ভর করছে কোনো পদ্ধতি মেনে করা হবে গণভোট।
রিপোর্ট : জা. আ. / সা. সি
অ্যাডভোকেট শিশির মনির ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালিন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। গঠিত হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। যেখানে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে গণভোটের ব্যাপারে সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তারা মনে করছে, এর মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। শুরুতেই জানতে হবে গণভোট আসলে কী?
বাংলাদেশের ইতিহাসে গণভোট হয়েছে তিনবার। ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জেনারেল জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতায় থাকার বৈধতা নিশ্চিত করেন গণভোটের মাধ্যমে। একই বিষয়ে, ১৯৮৫ সালে গণভোটের আয়োজন করেন সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। সবশেষ গণভোট হয় ১৯৯১ সালে। রাষ্ট্রপতিশাসিত ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব সংসদে পাস হওয়ার পর, জনগণ তা গ্রহণ করছেন কি না, তা যাচাইয়ে।
শেখ হাসিনা সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদ সংশোধন করে গণভোটের বিধান বাতিল করে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর কয়েকটি বিধান বাতিল করে হাইকোর্ট রায় দেন। এতে ১৯৯১ সালের দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করেন হাইকোর্ট। ফিরে আসে গণভোটের বিধান।
এখন প্রশ্ন হলো ১৪২ অনুচ্ছেন প্রয়োগ করে কী গণভোট করা সম্ভব?
যেহেতু সংসদ নেই, তাহলে কী উপায়ে গণভোট করা সম্ভব? এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজলের মতামত হলো, ১৯৯১ সালের গণভোট আইনের কিছু সংশোধনের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।
আর, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির মনে করছেন, ১৪২ অনুচ্ছেদ, ৯১ এর গণভোট আইন ও সংবিধান অনুসরণ না করে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতির একটি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে গণভোট করা সম্ভব।
রুহুল কুদ্দুস বলেন, গণভোটের সিদ্ধান্ত হলে সেটি বাস্তবায়নের জন্য ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর সংশোধনও প্রয়োজন হবে। যদিও তা মানতে নারাজ শিশির মনির।
তবে সব রাজনৈতিক দল ও ঐকমত্য কমিশন বিষয়গুলো কীভাবে বিবেচনায় নেবে, তার ওপর নির্ভর করছে কোনো পদ্ধতি মেনে করা হবে গণভোট।
রিপোর্ট : জা. আ. / সা. সি