ফিলিস্তিনে হামলা চালাতে ইসরায়েলকে ২ হাজার কোটি ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র
গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর কেটে গেছে দুই বছর। এই সময়ের মধ্যে ইসরায়েলকে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদনে ইসরায়েলকে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২ হাজার ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার, বা ২১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক একাডেমিক গবেষণায় বিশাল এই সহায়তার চিত্র উঠে আসে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র ইসরায়েল। দেশটির জন্ম থেকেই নানাভাবেই ইসরায়েলকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছে মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বদলালেও ইসরায়েল ইস্যুতে এক চুলও বদলায়নি মার্কিন বিদেশ নীতি। বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বার বার ইসরায়েলকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন।
ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলদারত্বের বিরুদ্বে ২০২৩ সালে হামলা-পাল্টা হামলায় যুদ্ধ শুরু হয় গাজায়। এরপর থেকে গত দু বছরে যুদ্ধ পরিচালনায় তেল আবিবকে অন্তত ২ হাজার ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। আর এই অর্থের বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে অস্ত্র, গোলাবারুদ, যুদ্ধবিমান, এবং আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের বোমা ও গাইডেড মিসাইল সরবরাহও অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্র্যাফটের সহায়তায় তৈরি এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় যুদ্ধের প্রথম বছরে সবচেয়ে বেশি ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে, আর দ্বিতীয় বছরে দেয়া হয়েছে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই সামরিক সহায়তার একটি অংশ ইতিমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছে গেছে, বাকি সহায়তাও প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, গাজায় মার্কিন সহায়তা নিয়ে আরেকটি গবেষণা চালান যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্টের গবেষকেরা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দু বছরে মধ্যপ্রাচ্যেজুড়ে নিরাপত্তা সহায়তা ও সামরিক অভিযানে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহায়তা ছাড়া গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধারাবাহিক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না বলে জানান গবেষক দল।
রিপোর্ট : রা. মু/টুবন
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র ইসরায়েল। দেশটির জন্ম থেকেই নানাভাবেই ইসরায়েলকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে এসেছে মার্কিন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রে সরকার বদলালেও ইসরায়েল ইস্যুতে এক চুলও বদলায়নি মার্কিন বিদেশ নীতি। বরং মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় বার বার ইসরায়েলকে ব্যবহার করেছে ওয়াশিংটন।
ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের দখলদারত্বের বিরুদ্বে ২০২৩ সালে হামলা-পাল্টা হামলায় যুদ্ধ শুরু হয় গাজায়। এরপর থেকে গত দু বছরে যুদ্ধ পরিচালনায় তেল আবিবকে অন্তত ২ হাজার ১৭০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে ওয়াশিংটন। আর এই অর্থের বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে অস্ত্র, গোলাবারুদ, যুদ্ধবিমান, এবং আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণে। এছাড়া নতুন প্রজন্মের বোমা ও গাইডেড মিসাইল সরবরাহও অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা কুইন্সি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্র্যাফটের সহায়তায় তৈরি এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় যুদ্ধের প্রথম বছরে সবচেয়ে বেশি ১৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে, আর দ্বিতীয় বছরে দেয়া হয়েছে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এই সামরিক সহায়তার একটি অংশ ইতিমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছে গেছে, বাকি সহায়তাও প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে, গাজায় মার্কিন সহায়তা নিয়ে আরেকটি গবেষণা চালান যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের কস্টস অব ওয়ার প্রজেক্টের গবেষকেরা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দু বছরে মধ্যপ্রাচ্যেজুড়ে নিরাপত্তা সহায়তা ও সামরিক অভিযানে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব সহায়তা ছাড়া গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ধারাবাহিক সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না বলে জানান গবেষক দল।
রিপোর্ট : রা. মু/টুবন