
নারীবান্ধব নির্বাচন আয়োজন ও সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে নারীবান্ধব করে তুলতে এবং ভোটের আগে-পরে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। তাদের মতে, নির্বাচনি সহিংসতার সময় নারীরাই সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সংঘবদ্ধ সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিলে নারীরা নিজেদের বেশি নিরাপদ মনে করবেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে (ইসি) নারী নেত্রীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নির্বাচনি সংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এতে ১৬ জন নারী প্রতিনিধি অংশ নেন।
ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘শুধুমাত্র সিইসি জেন্ডার ফ্রেন্ডলি নির্বাচন আশা প্রকাশ করলে তা হবে না। নির্বাচন জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হলে যে স্টেকহোল্ডার আছেন তাদের মানসিকতাকে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হবে। আমরা পুরো করতে পারব না হয়তো, কিন্তু বেশি যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেন্ডার ফ্রেন্ডলি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আমার যে কথা মনে আসে তা হলো— আমরা যখন ভোট দিতে যাই, তখন আমরা প্রার্থী দেখি। এই প্রার্থী বাছাইয়ের আপনাদের নজর রাখতে হবে। যারা নারী বিদ্বেষী, যারা সাম্প্রদায়িক, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে; প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এ তিনটা পয়েন্ট নজর রাখতে হবে আপনাদের।’
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সংসদে আসন বৃদ্ধি হয়নি। আমরা বলেছি ৩০০ আসনের পরিবর্তে ৬০০ আসন করতে হবে। একটি নির্বাচনের আসনে দুটি আসন থাকবে। যেখানে একটিতে শুধু নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আরেকটিতে নারী পুরুষ যে কেউ করতে পারবে।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত নির্বাচন যাতে হয়, সেটা আমরা চাই। নারী প্রার্থীরা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। নারী বিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা করা হয়। এবারও আমরা এমন শঙ্কা করছি এবং নারী যারা ভোটার তারা অনেক ধরনের হুমকির মুখে থাকেন। এ জায়গাগুলো কীভাবে বন্ধ করা সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের বড় ধরনের প্রত্যাশা থাকবে।’
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ফিজিক্যালি ডিজেবল যারা, তাদের ট্রান্সপোর্টটা যাতে কমফোর্টলি আসা-যাওয়া করতে পারে, এগুলা আমাদের পক্ষ থেকে করা সম্ভব। মানে গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাতে ভোটকেন্দ্র হয়। নির্বাচন কমিশন এসব ব্যবস্থা করবে।’
সিইসি বলেন, ‘একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে আমরা উপহার দিতে পারি সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের ইন্টেনশনটা গুড। ইলেকশন কমিশন রিয়েলি ইন্টারেস্টেড টু ডেলিভারি ইলেকশন। এই মেসেজটা আপনারা দিয়ে দিবেন এবং নারী ভোটাররা যাতে আসে ভোট সেন্টারে আসে।’
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় নির্বাচনি সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: ইউএনবি
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সংঘবদ্ধ সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিলে নারীরা নিজেদের বেশি নিরাপদ মনে করবেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে (ইসি) নারী নেত্রীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নির্বাচনি সংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এতে ১৬ জন নারী প্রতিনিধি অংশ নেন।
ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘শুধুমাত্র সিইসি জেন্ডার ফ্রেন্ডলি নির্বাচন আশা প্রকাশ করলে তা হবে না। নির্বাচন জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হলে যে স্টেকহোল্ডার আছেন তাদের মানসিকতাকে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হবে। আমরা পুরো করতে পারব না হয়তো, কিন্তু বেশি যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেন্ডার ফ্রেন্ডলি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আমার যে কথা মনে আসে তা হলো— আমরা যখন ভোট দিতে যাই, তখন আমরা প্রার্থী দেখি। এই প্রার্থী বাছাইয়ের আপনাদের নজর রাখতে হবে। যারা নারী বিদ্বেষী, যারা সাম্প্রদায়িক, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে; প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এ তিনটা পয়েন্ট নজর রাখতে হবে আপনাদের।’
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সংসদে আসন বৃদ্ধি হয়নি। আমরা বলেছি ৩০০ আসনের পরিবর্তে ৬০০ আসন করতে হবে। একটি নির্বাচনের আসনে দুটি আসন থাকবে। যেখানে একটিতে শুধু নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আরেকটিতে নারী পুরুষ যে কেউ করতে পারবে।’
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত নির্বাচন যাতে হয়, সেটা আমরা চাই। নারী প্রার্থীরা নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হয়। নারী বিদ্বেষী প্রচার-প্রচারণা করা হয়। এবারও আমরা এমন শঙ্কা করছি এবং নারী যারা ভোটার তারা অনেক ধরনের হুমকির মুখে থাকেন। এ জায়গাগুলো কীভাবে বন্ধ করা সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের বড় ধরনের প্রত্যাশা থাকবে।’
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ফিজিক্যালি ডিজেবল যারা, তাদের ট্রান্সপোর্টটা যাতে কমফোর্টলি আসা-যাওয়া করতে পারে, এগুলা আমাদের পক্ষ থেকে করা সম্ভব। মানে গ্রাউন্ড ফ্লোরে যাতে ভোটকেন্দ্র হয়। নির্বাচন কমিশন এসব ব্যবস্থা করবে।’
সিইসি বলেন, ‘একটা সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে আমরা উপহার দিতে পারি সে ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের ইন্টেনশনটা গুড। ইলেকশন কমিশন রিয়েলি ইন্টারেস্টেড টু ডেলিভারি ইলেকশন। এই মেসেজটা আপনারা দিয়ে দিবেন এবং নারী ভোটাররা যাতে আসে ভোট সেন্টারে আসে।’
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় নির্বাচনি সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী বক্তব্য রাখেন।
সূত্র: ইউএনবি
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স