গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার দুই বছর আজ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত উপত্যকার ৮০ শতাংশ এলাকা গাজায় ইসরায়েলি হামলার দুই বছর আজ। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হয় একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। দুই বছর পার হলেও রক্ত আর ধ্বংসের দাগ এখনো শুকায়নি ফিলিস্তিনের ভূমিতে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে বারবার আলোচনা হলেও বরং ইসরায়েলের আগ্রাসী মনোভাব অস্থির করে রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যকে।
ইসরায়েলি দখলদারের বিরুদ্ধে দু বছর আগের এই দিনেই তেল আবিববে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই গাজায় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। আগুনে পুড়তে শুরু করে গাজা। হামাস নির্মূলের নামে উপত্যকাজুড়ে শুরু হয় ইসরায়েলি তাণ্ডব।
শিশুদের চিৎকার, মায়ের আর্তনাদ আর ভেঙে পড়া ভবনের ধুলোয় হারিয়ে গেছে এক সময়ের জীবন্ত শহর গাজা। গোটা উপত্যকাই যেন পরিণত হয়েছে কবরস্থানে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রসন শুরুর পর কেটে গেছে ঠিক দুই বছর। এখনো গাজার মাটি কেঁপে ওঠে বোমার শব্দে, বাতাসে ভাসে মৃত্যুর গন্ধ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার, সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ হাজার। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও আড়াই লাখের বেশি মানুষ। কেউ হারিয়েছে পা, কেউ চোখ, কেউ গোটা পরিবার। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে উপত্যকার ৮০ শতাংশ এলাকা। হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির বা ধর্মীয় উপাসনালয় কিছুই, রক্ষা পায়নি ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের দীর্ঘ অবরোধে চরম দুর্ভিক্ষের মধ্যে দিন পার করছেন গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। খাদ্য নেই, পানি নেই, নেই নিরাপদ আশ্রয়। ওষুধও ফুরিয়ে গেছে বহুদিন আগে। ধ্বংসস্তুপের মাঝেই কোনোমতে রাত পার করছে হাজার হাজার পরিবার। তবুও বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গাজাবাসী।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার দুই বছরেও থামেনি ইসরায়েলি বর্বরতা। যুদ্ধবিরতি নিয়ে বারবার আলোচনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ইসরায়েল এ সময়ে ইরান, সিরিয়া, লেবানন, কাতার, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনে হামলা করে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থির করে রেখেছে। দেশটির আগ্রাসী মনোভাবে অনেকটা বাধ্য হয়ে গতমাসে স্বাধীন ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের অনেক দেশ।
গাজা উপত্যকার জনগণ আর কত রক্ত দিলে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পাবে- তা তারা জানে না। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা আশার আলো দেখাচ্ছে অনেককে।
রিপোর্ট : রা. মু. / সা. সি
ইসরায়েলি দখলদারের বিরুদ্ধে দু বছর আগের এই দিনেই তেল আবিববে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সেদিন থেকেই গাজায় তাণ্ডব শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। আগুনে পুড়তে শুরু করে গাজা। হামাস নির্মূলের নামে উপত্যকাজুড়ে শুরু হয় ইসরায়েলি তাণ্ডব।
শিশুদের চিৎকার, মায়ের আর্তনাদ আর ভেঙে পড়া ভবনের ধুলোয় হারিয়ে গেছে এক সময়ের জীবন্ত শহর গাজা। গোটা উপত্যকাই যেন পরিণত হয়েছে কবরস্থানে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রসন শুরুর পর কেটে গেছে ঠিক দুই বছর। এখনো গাজার মাটি কেঁপে ওঠে বোমার শব্দে, বাতাসে ভাসে মৃত্যুর গন্ধ।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার, সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৭ হাজার। যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও আড়াই লাখের বেশি মানুষ। কেউ হারিয়েছে পা, কেউ চোখ, কেউ গোটা পরিবার। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে উপত্যকার ৮০ শতাংশ এলাকা। হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির বা ধর্মীয় উপাসনালয় কিছুই, রক্ষা পায়নি ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের দীর্ঘ অবরোধে চরম দুর্ভিক্ষের মধ্যে দিন পার করছেন গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ। খাদ্য নেই, পানি নেই, নেই নিরাপদ আশ্রয়। ওষুধও ফুরিয়ে গেছে বহুদিন আগে। ধ্বংসস্তুপের মাঝেই কোনোমতে রাত পার করছে হাজার হাজার পরিবার। তবুও বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে গাজাবাসী।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার দুই বছরেও থামেনি ইসরায়েলি বর্বরতা। যুদ্ধবিরতি নিয়ে বারবার আলোচনা হলেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
ইসরায়েল এ সময়ে ইরান, সিরিয়া, লেবানন, কাতার, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেনে হামলা করে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থির করে রেখেছে। দেশটির আগ্রাসী মনোভাবে অনেকটা বাধ্য হয়ে গতমাসে স্বাধীন ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের অনেক দেশ।
গাজা উপত্যকার জনগণ আর কত রক্ত দিলে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র পাবে- তা তারা জানে না। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা আশার আলো দেখাচ্ছে অনেককে।
রিপোর্ট : রা. মু. / সা. সি