কামরাঙ্গীরচরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মো. পারভেজ (৩৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে তিনি হামলার শিকার হন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় সজল হোসেন (২৫) নামে আরও এক শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত পারভেজ বরিশালের বন্দর থানার কাউয়াচর গ্রামের মৃত কাঞ্চন খানের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া এলাকার আরাফাত ট্রেডিং নামে একটি সিমেন্ট ডিলার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) নিহতের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৩) বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলো: কিশোর গ্যাং লিডার সাকিব (১৯), তার সহযোগী আরমান হোসেন (২০), তৌফিক হাসান (২০) ও জুবায়ের হোসেন (১৯)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক সোলায়মান হোসেন জানান, রবিবার বিকেলে হুজুরপাড়া ঘাটে ভেড়ানো জাহাজ থেকে সিমেন্ট খালাসের কাজ করছিলেন পারভেজ ও সজলসহ কয়েকজন শ্রমিক। কাজ শেষে সজল টুপির ধুলো ঝাড়তে গেলে পাশ দিয়ে যাওয়া কিশোর গ্যাং লিডার সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালাগাল করেন। একপর্যায়ে সজলকে থাপ্পড় মারেন। পরে সাকিব কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে এসে সজলকে মারধর শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, এসময় পারভেজ সজলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ছুরি বের করে পারভেজের পেটে আঘাত করে। এরপর সজলের পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত দেড়টার দিকে পারভেজের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘স্বামী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে হুজুরপাড়া এলাকায় ওসমান মিয়ার বাড়িতে থাকি। স্বামীর আয়ে সংসার চলত। সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে তার প্রাণ গেল। আমার চারটা বাচ্চা এখন এতিম হয়ে গেল, কোথায় নিয়ে যাবো তাদের?’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। সাকিবের নেতৃত্বে কামরাঙ্গীরচর, খোলামোড়া, আশরাফাবাদ ও ঠোঁটা মাঠ এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তার। তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পারভেজ হত্যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত। নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
নিহত পারভেজ বরিশালের বন্দর থানার কাউয়াচর গ্রামের মৃত কাঞ্চন খানের ছেলে। তিনি কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া এলাকার আরাফাত ট্রেডিং নামে একটি সিমেন্ট ডিলার প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) নিহতের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৩) বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্যকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলো: কিশোর গ্যাং লিডার সাকিব (১৯), তার সহযোগী আরমান হোসেন (২০), তৌফিক হাসান (২০) ও জুবায়ের হোসেন (১৯)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিক সোলায়মান হোসেন জানান, রবিবার বিকেলে হুজুরপাড়া ঘাটে ভেড়ানো জাহাজ থেকে সিমেন্ট খালাসের কাজ করছিলেন পারভেজ ও সজলসহ কয়েকজন শ্রমিক। কাজ শেষে সজল টুপির ধুলো ঝাড়তে গেলে পাশ দিয়ে যাওয়া কিশোর গ্যাং লিডার সাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালাগাল করেন। একপর্যায়ে সজলকে থাপ্পড় মারেন। পরে সাকিব কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে এসে সজলকে মারধর শুরু করেন।
তিনি আরও জানান, এসময় পারভেজ সজলকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ছুরি বের করে পারভেজের পেটে আঘাত করে। এরপর সজলের পায়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত দেড়টার দিকে পারভেজের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার বলেন, ‘স্বামী, দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে হুজুরপাড়া এলাকায় ওসমান মিয়ার বাড়িতে থাকি। স্বামীর আয়ে সংসার চলত। সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে তার প্রাণ গেল। আমার চারটা বাচ্চা এখন এতিম হয়ে গেল, কোথায় নিয়ে যাবো তাদের?’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। সাকিবের নেতৃত্বে কামরাঙ্গীরচর, খোলামোড়া, আশরাফাবাদ ও ঠোঁটা মাঠ এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তার। তারা ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত।
কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পারভেজ হত্যায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত। নিহতের স্ত্রীর করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
