ATN
শিরোনাম
  •  

বান্দরবানে প্রবারণা পূর্ণিমায় উৎসবমুখর পাহাড়

         
বান্দরবানে প্রবারণা পূর্ণিমায় উৎসবমুখর পাহাড়

বান্দরবানে প্রবারণা পূর্ণিমায় উৎসবমুখর পাহাড়

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা ও কঠিন চীবর দান আজ। পার্বত্য জেলার বৌদ্ধ বিহারগুলোয় নানা আচার আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। বৌদ্ধপাড়ায় উৎসবমুখর আবহ। চলছে রথ টানা ও ফানুস উড়ানোর প্রস্তুতি।

আত্মশুদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে অশুভকে বর্জন এবং সত্য ও সুন্দরকে বরণের আয়োজন প্রবারণা। মহামতি গৌতম বুদ্ধ নির্বাণলাভের পর আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে অশ্বিনী পূর্ণিমাতিথি পর্যন্ত তিন মাস প্রবারণা ব্রত পালন করেন। সেই থেকে এই তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা মন্দিরে মন্দিরে 'বর্ষাবাস' পালন করে থাকেন।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের বিভিন্ন বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নিকট পঞ্চশীল গ্রহণের পর বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, বর্ষাবাসের চীবরদান এবং স্বধর্ম শ্রবণসহ নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিয়েছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা । এ সময় ফুলপূজা ও বুদ্ধপূজারও আয়োজন করা হয়। পূণ্যানুষ্ঠানে ভান্তেরা ধর্মদেশনা দেন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেন।

দিনের শুরু থেকে রাঙ্গামাটির রাজ বনবিহারসহ বৌদ্ধ বিহারগুলোতে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষু সংঘের পিণ্ডদান ও মঙ্গলসূত্র পাঠ, বুদ্ধ পূজা, পঞ্চশীল প্রার্থনাসহ বিভিন্ন দানানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বভন্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।

গৌতম বুদ্ধের সম্মানে রাতে বান্দরানের আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হবে শত শত ফানুস বাতি। আর আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বান্দরবান শহরের উজানীপাড়া, মধ্যমপাড়ায় আয়োজন করা হবে রথটানা উৎসবের। মারমা তরুণ-তরুণীরা নানা রঙের পোশাক পরে এক মন্দির থেকে আরেক মন্দিরে টেনে নিয়ে যাবেন রথ। এই উৎসবকে ঘিরে আনন্দমুখর এখন বান্দরবানের মারমা পল্লীগুলো।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন প্রবারণা উৎসবকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বান্দরবান।

রিপোর্ট : আ. / সা. সি

পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ