ATN
শিরোনাম
  •  

তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

         
তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে, বাড়ছে ভাঙন আতঙ্ক

উজানের ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর নীলফামারীর নদীপাড়ের এলাকাগুলোতে এখন পানি কমতে শুরু করেছে। তবে স্বস্তির পাশাপাশি দেখা দিয়েছে নতুন আশঙ্কা- নদীভাঙন। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তা তীরের মানুষ।

আজ সোমবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১২ মিটার, যা বিপৎসীমার (৫২ দশমিক ১৫ মিটার) চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার নিচে। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে এই উচ্চতা ছিল ৫২ দশমিক ৫০ মিটার, অর্থাৎ ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের ভাষ্য, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে তিস্তার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এতে ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিসা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। ডুবে যায় ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের ও রাস্তাঘাট। পানি নামতে শুরু করলেও এখন নদীভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে মানুষজন।

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের ইসমাইল হোসেন বলেন, “গতকাল রাতে পানি হঠাৎ বেড়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। আজ সকালে পানি নামতে শুরু করেছে, কিন্তু পানি নামলে ভাঙন আরও বাড়ে।”

আরেক স্থানীয় জাকারিয়া বলেন, “তিস্তার পানি উঠলে যেমন ভয়, নামলেও ভয়। পানি কমলেই ভাঙন দেখা দেয়।”

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, “রোববার রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও আজ সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।”

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, “তিস্তার পানি এখন বিপৎসীমার নিচে স্থিতিশীল। নতুন করে পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে পানি নামতে শুরু করায় তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।”

এদিকে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/জেড.এস
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ