হাওরে মাছের সমৃদ্ধি এখন অতীত, নতুন প্রজন্মের কাছে গল্পকথা। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানুষের অসচেতন কর্মকাণ্ডে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির মাছ। সংকটে পড়েছেন জেলেপেশার লাখো মানুষ। খাদ্য নিরাপত্তার আশঙ্কাও করছেন গবেষকরা।
স্থানীয় জেলেরা বলেন ভোর হবার আগেই এই ঘাটে ভিড় করত মাছভর্তি নৌকা। হাঁকডাকে জমজমাট থাকত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ধনু নদীর তীরের বালিখলা মাছ বাজার। প্রতিদিন কোটি টাকারও দেশি মাছ কেনাবেচা হতো। বদলে গেছে সেই চিত্র। মাছ কমেছে, কমেছে বেচাকেনাও। বাজারে নেই আগের মতো ক্রেতার ভিড়, জেলেদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ।
বালিখলা মাছ বাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন বলেন এই বাজারে এখনো বোয়াল, চিতল, রুই-কাতলা, বাইমের মতো বড়মাছ মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু রানি মাছ, কাজরী, লাল চান্দা, চ্যালাসহ আরও অনেক মাছ এখন প্রায় চোখেই পড়ে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান এই বিপর্যয়ের পিছনে কারণ একাধিক। এক. জলবায়ু পরিবর্তন, দুই. নদী ও হাওরে পলি জমে যাওয়া, তিন. চাষাবাদে অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার, চার. অপরিকল্পিত স্থাপনা। গত কয়েক বছরে হাওরে পানেও কমে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, অবাধে মা মাছ ধরা পড়ছে নিষিদ্ধ জালে। এতে প্রাকৃতিক প্রজনন চক্র ভেঙে যাচ্ছে। এক সময় যেখানে ১৪৩ প্রজাতির দেশি মাছ ছিল, এখন টিকে আছে মাত্র ৭০ থেকে ৭৫টি প্রজাতি।
এক দশকে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল থেকে মাছ আহরণ কমে গেছে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন। হাওরের মাছ মানেই শুধু খাবার নয়, লাখো জেলের জীবিকা, স্বপ্ন আর সংস্কৃতির অংশও।
রিপোর্ট : আ. /সা.সি
স্থানীয় জেলেরা বলেন ভোর হবার আগেই এই ঘাটে ভিড় করত মাছভর্তি নৌকা। হাঁকডাকে জমজমাট থাকত কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ধনু নদীর তীরের বালিখলা মাছ বাজার। প্রতিদিন কোটি টাকারও দেশি মাছ কেনাবেচা হতো। বদলে গেছে সেই চিত্র। মাছ কমেছে, কমেছে বেচাকেনাও। বাজারে নেই আগের মতো ক্রেতার ভিড়, জেলেদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ।
বালিখলা মাছ বাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন বলেন এই বাজারে এখনো বোয়াল, চিতল, রুই-কাতলা, বাইমের মতো বড়মাছ মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়। কিন্তু রানি মাছ, কাজরী, লাল চান্দা, চ্যালাসহ আরও অনেক মাছ এখন প্রায় চোখেই পড়ে না।
কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম সহ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান এই বিপর্যয়ের পিছনে কারণ একাধিক। এক. জলবায়ু পরিবর্তন, দুই. নদী ও হাওরে পলি জমে যাওয়া, তিন. চাষাবাদে অতিমাত্রায় কীটনাশকের ব্যবহার, চার. অপরিকল্পিত স্থাপনা। গত কয়েক বছরে হাওরে পানেও কমে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, অবাধে মা মাছ ধরা পড়ছে নিষিদ্ধ জালে। এতে প্রাকৃতিক প্রজনন চক্র ভেঙে যাচ্ছে। এক সময় যেখানে ১৪৩ প্রজাতির দেশি মাছ ছিল, এখন টিকে আছে মাত্র ৭০ থেকে ৭৫টি প্রজাতি।
এক দশকে কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চল থেকে মাছ আহরণ কমে গেছে প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন। হাওরের মাছ মানেই শুধু খাবার নয়, লাখো জেলের জীবিকা, স্বপ্ন আর সংস্কৃতির অংশও।
রিপোর্ট : আ. /সা.সি