
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দল যেন মিনি হাসপাতাল
ম্যাচের আগেই চোটের কবলে বাংলাদেশ ফুটবল দল। হংকংয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ শুরুর আগেই একে একে ইনজুরিতে পড়ছেন জামাল ভূঁইয়ার সতীর্থরা। মাঠে নামার আগেই যেন মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ইনজুরিগ্রস্ত এই দল নিয়ে কতটা সফল হবেন জামাল ভূঁইয়ারা?
গত ৩ অক্টোবর রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। পরদিন কোনও অনুশীলনই রাখেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে ৫ অক্টোবর ঢাকা স্টেডিয়ামে উন্মুক্ত সেশনে অনুশীলন করেছেন সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেনরা। কিন্তু অনুশীলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার চেহারায় ছিল দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
হাঁটুর চোটে আগেই ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পুরনো চোট ফিরে আসায় শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন না তিনি। তারপরও কোচ ক্যাম্পে ডেকে তাকে পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতে পাস করতে পারেননি বলেই ছাড়তে হয়েছে ক্যাম্প। তারপরও স্প্যানিশ কোচকে ভাবতে হচ্ছে চোট নিয়ে। ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের চলমান প্রস্তুতি ক্যাম্পে চোট সমস্যায় ভুগছেন অভিজ্ঞ তপু বর্মণ, ফরোয়ার্ড সুমন রেজা, সেন্টারব্যাক তারিক কাজী ও স্ট্রাইকার আল-আমীন। ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম ক্যাম্প ছেড়েছেন বৃহস্পতিবার। এত এত চোট নিয়ে সেরা দল গড়াই মুশকিল এই কোচের জন্য।
দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের ইনজুরি। তারপরও কোচের দাবি প্রস্তুতি ভালোই চলছে। তিনি জানান, প্রস্তুতির আবহ নিয়ে তিনি ভীষণ খুশি এবং ইতিবাচক। এখনও যেহেতু চারটি সেশন বাকি আছে অনুশীলন। তাই বড় চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সময় আছে বলে দাবি করছেন তিনি। তবে চোট যে দলকে ভোগাচ্ছে পরোক্ষে সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন।
কাবরেরার বলেন, হ্যাঁ, চোটের কারণেই আমরা এবার বড় তালিকা করেছি। সুমন এবং ইব্রাহিম দুজনেই ঠিকঠাকভাবে ক্যাম্পে এসেছিল। এমনকি তারিক, তপু ও আল আমিনও ভালোভাবে এসেছিল। কিন্তু পরে আমরা দেখলাম কিছু ইস্যু আছে। সুমন ও ইব্রাহিমের যথাসময়ে ফিট করে তোলার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাদের ফিট করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এগুলো অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে ক্লাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোচের আশা তারেক কাজী, তপু বর্মণ ও আল আমিন দ্রুতই ফিট হয়ে উঠবেন।
৬ অক্টোবর রাতে ঢাকায় পা রাখবে হংকং ফুটবল দল। অর্থাৎ ম্যাচের আগে দুদিন ঢাকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে দলের ফুটবলারা। ৭ অক্টোবর উত্তরার পুলিশ লাইন মাঠে অনুশীলন করবে তারা। আর ম্যাচের আগে সুযোগ পাবে মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করার।
অনুশীলনে এখনও যোগ দেননি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, কানাডা লিগের ফুটবলার শমিত সোম। হামজা চৌধুরী ৬ অক্টোবর ও শমিত সোম ৭ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন।
হংকং ম্যাচে কোচ এদের প্রত্যেকের কাছে ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন। ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য এবং বাছাই পর্ব পার হওয়ার জন্য এই ম্যাচটি বড় সুযোগ বাংলাদেশের। ফুটবলাররা নিশ্চয় ৩ পয়েন্ট নিয়েই এ দিন মাঠ ছাড়তে চাইবেন।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
গত ৩ অক্টোবর রুদ্ধদ্বার অনুশীলন করেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। পরদিন কোনও অনুশীলনই রাখেননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবে ৫ অক্টোবর ঢাকা স্টেডিয়ামে উন্মুক্ত সেশনে অনুশীলন করেছেন সাদ উদ্দিন, রাকিব হোসেনরা। কিন্তু অনুশীলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার চেহারায় ছিল দুশ্চিন্তার ভাঁজ।
হাঁটুর চোটে আগেই ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পুরনো চোট ফিরে আসায় শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন না তিনি। তারপরও কোচ ক্যাম্পে ডেকে তাকে পরীক্ষা করিয়েছিলেন। তাতে পাস করতে পারেননি বলেই ছাড়তে হয়েছে ক্যাম্প। তারপরও স্প্যানিশ কোচকে ভাবতে হচ্ছে চোট নিয়ে। ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচের চলমান প্রস্তুতি ক্যাম্পে চোট সমস্যায় ভুগছেন অভিজ্ঞ তপু বর্মণ, ফরোয়ার্ড সুমন রেজা, সেন্টারব্যাক তারিক কাজী ও স্ট্রাইকার আল-আমীন। ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম ক্যাম্প ছেড়েছেন বৃহস্পতিবার। এত এত চোট নিয়ে সেরা দল গড়াই মুশকিল এই কোচের জন্য।
দলের গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের ইনজুরি। তারপরও কোচের দাবি প্রস্তুতি ভালোই চলছে। তিনি জানান, প্রস্তুতির আবহ নিয়ে তিনি ভীষণ খুশি এবং ইতিবাচক। এখনও যেহেতু চারটি সেশন বাকি আছে অনুশীলন। তাই বড় চ্যালেঞ্জের জন্য পুরোপুরি তৈরি হওয়ার সময় আছে বলে দাবি করছেন তিনি। তবে চোট যে দলকে ভোগাচ্ছে পরোক্ষে সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন।
কাবরেরার বলেন, হ্যাঁ, চোটের কারণেই আমরা এবার বড় তালিকা করেছি। সুমন এবং ইব্রাহিম দুজনেই ঠিকঠাকভাবে ক্যাম্পে এসেছিল। এমনকি তারিক, তপু ও আল আমিনও ভালোভাবে এসেছিল। কিন্তু পরে আমরা দেখলাম কিছু ইস্যু আছে। সুমন ও ইব্রাহিমের যথাসময়ে ফিট করে তোলার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাদের ফিট করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এগুলো অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে ক্লাবে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
যদিও কোচের আশা তারেক কাজী, তপু বর্মণ ও আল আমিন দ্রুতই ফিট হয়ে উঠবেন।
৬ অক্টোবর রাতে ঢাকায় পা রাখবে হংকং ফুটবল দল। অর্থাৎ ম্যাচের আগে দুদিন ঢাকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে দলের ফুটবলারা। ৭ অক্টোবর উত্তরার পুলিশ লাইন মাঠে অনুশীলন করবে তারা। আর ম্যাচের আগে সুযোগ পাবে মূল ভেন্যুতে অনুশীলন করার।
অনুশীলনে এখনও যোগ দেননি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী, কানাডা লিগের ফুটবলার শমিত সোম। হামজা চৌধুরী ৬ অক্টোবর ও শমিত সোম ৭ অক্টোবর ঢাকায় আসবেন।
হংকং ম্যাচে কোচ এদের প্রত্যেকের কাছে ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করছেন। ঘরের মাঠে তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য এবং বাছাই পর্ব পার হওয়ার জন্য এই ম্যাচটি বড় সুযোগ বাংলাদেশের। ফুটবলাররা নিশ্চয় ৩ পয়েন্ট নিয়েই এ দিন মাঠ ছাড়তে চাইবেন।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স