টানা ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে
প্রবাহিত হচ্ছে। আজ রবিবার রাত ৯টার দিকে লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে
পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৪২ মিটার, যা বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার
ওপরে। এ অবস্থায় লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীপাড়ের
এলাকাগুলোতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে
যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনের বৃষ্টিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাত্র নয় ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৮০ সেন্টিমিটার। এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, অনেক পরিবার এখন পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
পানিতে ডুবে গেছে মাছের খামার, রোপা আমন ধান ও সবজির ক্ষেত। নদীপাড়ের চরাঞ্চলের সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা নৌকায় চলাচল শুরু করেছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আগামী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গোবর্দ্ধন গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, “নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ধানের খেত পানির নিচে।”
ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, “তিস্তার পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন বলেন, বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রোপা আমন, চিনাবাদাম ও শাকসবজির চাষ চলছে। পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়, কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/জেড.এস
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত তিন দিনের বৃষ্টিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাত্র নয় ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বেড়েছে ৮০ সেন্টিমিটার। এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, অনেক পরিবার এখন পানিবন্দী অবস্থায় আছে।
পানিতে ডুবে গেছে মাছের খামার, রোপা আমন ধান ও সবজির ক্ষেত। নদীপাড়ের চরাঞ্চলের সড়কগুলো তলিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা নৌকায় চলাচল শুরু করেছেন।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আগামী ১২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি নদ-নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গোবর্দ্ধন গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, “নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে গেছে। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, ধানের খেত পানির নিচে।”
ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, “তিস্তার পানি বর্তমানে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।”
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নদীপাড়ের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শায়খুল আরিফিন বলেন, বর্তমানে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় রোপা আমন, চিনাবাদাম ও শাকসবজির চাষ চলছে। পানি যদি তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়, কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/জেড.এস