ATN
শিরোনাম
  •  

মিয়ানমারের অস্থিরতায় নির্ঘুম সীমান্তের বাংলাদেশিরা

         
মিয়ানমারের অস্থিরতায় নির্ঘুম সীমান্তের বাংলাদেশিরা

মিয়ানমারের অস্থিরতায় নির্ঘুম সীমান্তের বাংলাদেশিরা

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফের শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাত। এবার শুধু আরাকান আর্মি আর জান্তা বাহিনীর লড়াই নয়, সেখানে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ত্রিমুখী এই লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তঘেঁষা এলাকাতেও। অন্যদিকে নাফ নদী থেকেও বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও বাড়িয়েছে উদ্বেগ।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা বাংলাদেশের বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের তুমব্রু। ৯১ কিলোমিটার এই স্থলসীমান্তের এপারে প্রায় প্রতিদিনই থেমে থেমে ভেসে আসে গুলাগুলির শব্দ।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় আট মাসের যুদ্ধ শেষে, মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী ও বর্ডারগার্ড পুলিশকে পরাস্ত করে সীমান্ত এলাকার দখল নেয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এখন আরাকান আর্মিকে হটিয়ে সেখানে নিজেদের কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে আরসা, আরএসওসহ রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে প্রতিদিন গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কিত টেকনাফ ও উখিয়ার বাসিন্দারা।

পরিসংখ্যান বলছে, গত আট বছরে মিয়ানমারে ত্রিমুখী এই সংঘর্ষের জেরে এবং সীমান্তে জান্তা বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে পা হারিয়েছেন ৪৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

এরই মাঝে, ডিসেম্বর থেকে এই পর্যন্ত নাফ নদী ও সমুদ্র থেকে ২২৮ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।

বিজিবি বলছে, ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম করায় অপহরণের শিকার হন জেলেরা।

কক্সবাজার বিজিবি রামু সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, দেশের সর্বদক্ষিণের সীমান্ত টেকনাফের নাফ নদীতে আরাকান আর্মি কর্তৃক জেলে অপহরণের ঘটনা এখন নিত্যদিনের। তবে অধিকাংশ ঘটনায় জেলেদেরকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রিপোর্ট : ই. লি/টুবন
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ