ATN
শিরোনাম
  •  

রপ্তানির টাকা দিচ্ছে না বিদেশী ক্রেতা? প্রতারণা করছে যেভাবে

         
রপ্তানির টাকা দিচ্ছে না বিদেশী ক্রেতা? প্রতারণা করছে যেভাবে

রপ্তানির টাকা দিচ্ছে না বিদেশী ক্রেতা? প্রতারণা করছে যেভাবে

পণ্য রপ্তানি করেও মূল্য পাচ্ছেন না অনেক তৈরি পোশাক উদ্যোক্তা। রপ্তানির বিপরীতে ফেরত আসেনি ২০ হাজার কোটি টাকা। বায়ার, বায়িং হাউজ, শিপিং এজেন্ট আর ফ্রেইড ফরওয়ার্ডদের যোগসাজসে হচ্ছে এসব প্রতারণা। এভাবে রপ্তানি মূল্য দেশে না আসায় বন্ধ হয়ে গেছে অনেক কারখানা।

ডুকাটি অ্যাপারেলস। গেল এপ্রিলে স্থলপথে ভারতে রপ্তানি করে প্রায় ৪ লাখ ২৭ হাজার ডলারের তৈরি পোশাক। কিনেছে ভারতের স্টাইলভারস লাইফস্টাইল। কোম্পানিটি ওই দেশে তাদের প্রতিনিধি ব্যাংকে রপ্তানিকারকের পাঠানো ডকুমেন্টস এনডোর্স না করেই যোগসাজস করে মাল ডেলিভেরি নেয়। কিন্তু ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও পেমেন্ট পাননি উদ্যোক্তা। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি তারা জানিয়েছেন ভারতীয় দূতাবাসকেও।

শুধু ডুকাটি অ্যাপারেলসই নয়। সম্প্রতি এ রকম প্রতারণায় রপ্তানির টাকা পায়নি কে গার্মেন্টস লিমিটেড, মেলো ফ্যাশন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানও। বিষয়টি তারা লিখিতভাবে জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে।

বিজিএমইএ বলছে, এ রকম ৩০ হাজার রপ্তানি চালানের বিপরীতে দেশে আসেনি ২০ হাজার কোটি টাকা।

বায়িং হাউজগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ এসোসিয়েশন বলছে, এরকম বিভিন্ন অভিযোগ তারা রপ্তানিকারকদের সাথে সালিশে বসে সমাধানের চেষ্টা করে।

পাওনা টাকা ফেরাতে দেশের দূতাবাসগুলোর উদ্যোগের পাশাপাশি বায়ারদের ব্যাপারেও সতর্কতা দরকার, পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের।

এর আগেও ভারতের লিলিপুট ফ্যাশনের কাছ থেকে বাংলাদেশের ২২ ক্ষুদ্র গার্মেন্টস রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বুঝে পায়নি ৪০ লাখ ডলার। বিষয়টি নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা এখনো চলমান।

রিপোর্ট : গো. কা. র/টুবন
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ