ATN
শিরোনাম
  •  

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক

         
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক

ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ সেখানে আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে আহমদ রফিকের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে বলে তার নামে গড়া আহমদ রফিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে।

ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বস্তরের মানুয়ের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোক র‌্যালির মাধ্যমে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য আহমদ রফিক মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন।

বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে আহমদ রফিকের জীবনাবসান হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯৬ বছর। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, আলঝেইমার্স রোগ, পারকিনসন্স রোগ, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, বেডশোর, ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন আহমদ রফিক।

ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুর গ্রামে। মুন্সিগঞ্জের হরগঙ্গা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। এরপর রসায়নে পড়তে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু ফজলুল হক হলের আবাসিক সুবিধা না পাওয়ায় পরে ভর্তি হন ঢাকা মেডিকেল কলেজে।

১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয়বর্ষে পড়ার সময় ফজলুল হক হল, ঢাকা হল এবং মিটফোর্ডের ছাত্রদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে চলার কাজ করেছেন তিনি। পাশাপাশি সভা-সমাবেশ মিছিলে ছিলেন নিয়মিত তিনি।

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনকারী ছাত্রদের মাঝে একমাত্র তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের শেষ দিকে প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসে পড়াশোনায় ফেরেন আহমদ রফিক। এমবিবিএস ডিগ্রি নিলেও চিকিৎসকের পেশায় যাননি তিনি।

১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দেই আহমেদ রফিকের প্রথম প্রবন্ধের বই ‘শিল্প সংস্কৃতি জীবন’ প্রকাশ হয়। তারপর লেখালেখিতেই জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, রবীন্দ্রত্ত্বাচার্য উপাধিসহ অনেক সম্মাননা।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/টুবন
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ