
রাজধানীতে এসি বিস্ফোরণ বাড়ছে, মানতে হবে ব্যবহার বিধি
গরম থেকে মুক্তি পেতে ঘরে বসে নিশ্চিন্তে এসি চালাচ্ছেন? কিন্তু জানেন কি, এই স্বস্তির যন্ত্রই হতে পারে প্রাণঘাতী? বিশেষজ্ঞদের মতে, অসচেতনতা আর সঠিক নিয়ম না মানার কারণেই ঘটছে এসি বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে- এসির ব্যবহার কি সত্যিই নিরাপদ?
এই ভয়াবহ চিত্রটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণের পরের সময়ের। মুহূর্তেই তছনছ হয়ে যায় একটি পরিবারের স্বপ্ন। দগ্ধ হয় ঘরে থাকা সবাই। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে যায় ফ্ল্যাটের প্রধান ফটক, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাইরে থাকা লিফটও। ইতোমধ্যেই প্রাণহানি ঘটেছে দুইজনের, বাকিদের অবস্থা ও গুরুতর।
এটি কিন্তু একক কোনো ঘটনা নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৩০–৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন। শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই এমন ঘটনা ঘটেছে চারবার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার ফলে এসি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও বাড়ে। তবে সচেতনতার অভাবে রাজধানীজুড়ে এখন এসি হয়ে উঠছে আতঙ্কের আরেক নাম। ভেতরের ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এসব বিস্ফোরণ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, শুধু সঠিক ব্যবহারবিধি মেনে চলাই নয়, এসি কেনার সময়ও মাথায় রাখতে হবে অনেক বিষয়। এরপর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখলেই কমানো যাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এসি হঠাৎ করে কখনই বিস্ফোরিত হয় না। এর পেছনে থাকে পারিপার্শ্বিক নানা ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনা। তাই এসি সার্ভিসিং কিংবা স্থাপনের সময় ভরসা রাখতে হবে দক্ষ লোকের উপর।
ইকবাল হাবিব সহ নগরবিদরা বলছেন, ঢাকায় বেশিরভাগ ভবনেই ইমারত বিধি মানা হয় না। আউটডোর ইউনিটের বাতাস বের হওয়ার জায়গা না থাকায় তাপ জমে বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এই নগরবিদের পরামর্শ, দুর্ঘটনা এড়াতে বছরে অন্তত একবার প্রতিটি বাড়ির বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সব প্রযুক্তিগত উপকরণের নিয়মিত সার্ভিসিং জরুরি।
রিপোর্ট : মা. মি. / সা. সি
এই ভয়াবহ চিত্রটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় এসি বিস্ফোরণের পরের সময়ের। মুহূর্তেই তছনছ হয়ে যায় একটি পরিবারের স্বপ্ন। দগ্ধ হয় ঘরে থাকা সবাই। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে যায় ফ্ল্যাটের প্রধান ফটক, ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাইরে থাকা লিফটও। ইতোমধ্যেই প্রাণহানি ঘটেছে দুইজনের, বাকিদের অবস্থা ও গুরুতর।
এটি কিন্তু একক কোনো ঘটনা নয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৩০–৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন। শুধু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীতেই এমন ঘটনা ঘটেছে চারবার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার ফলে এসি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও বাড়ে। তবে সচেতনতার অভাবে রাজধানীজুড়ে এখন এসি হয়ে উঠছে আতঙ্কের আরেক নাম। ভেতরের ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এসব বিস্ফোরণ হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, শুধু সঠিক ব্যবহারবিধি মেনে চলাই নয়, এসি কেনার সময়ও মাথায় রাখতে হবে অনেক বিষয়। এরপর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখলেই কমানো যাবে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এসি হঠাৎ করে কখনই বিস্ফোরিত হয় না। এর পেছনে থাকে পারিপার্শ্বিক নানা ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনা। তাই এসি সার্ভিসিং কিংবা স্থাপনের সময় ভরসা রাখতে হবে দক্ষ লোকের উপর।
ইকবাল হাবিব সহ নগরবিদরা বলছেন, ঢাকায় বেশিরভাগ ভবনেই ইমারত বিধি মানা হয় না। আউটডোর ইউনিটের বাতাস বের হওয়ার জায়গা না থাকায় তাপ জমে বিস্ফোরণের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এই নগরবিদের পরামর্শ, দুর্ঘটনা এড়াতে বছরে অন্তত একবার প্রতিটি বাড়ির বিদ্যুৎ ও অন্যান্য সব প্রযুক্তিগত উপকরণের নিয়মিত সার্ভিসিং জরুরি।
রিপোর্ট : মা. মি. / সা. সি