ক্রমাগত লোকসানে একের পর এক বন্ধ হচ্ছে পাবনার তাঁত কারখানা। এক দিকে রং,সুতাসহ কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অন্য দিকে কমছে তাঁত কাপড়ের চাহিদা। ফলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন অনেক প্রান্তিক তাঁতি ও কারখানা মালিকরা। গত এক দশকেরও কম সময়ে জেলায় বিলীন হয়েছে দুই-তৃতীয়াংশ তাঁত। পেশা বদলেছেন হাজারো মানুষ।
পদ্মা যমুনা পাড়ের প্রায় দুশ’ বছরের প্রাচীন জনপদ পাবনা। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা আর লোকসংস্কৃতির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে তাঁতের কাপড় আর তাঁতিদের গল্পগাঁথা। এক সময় জেলার অর্থনীতিই ছিলো তাঁত শিল্পনির্ভর। তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গির পাশাপাশি বিশ^জোড়া সুনাম ছিল পাবনার মসলিন কাপড়েরও। এখন সবই সেই সোনালী দিনের স্মৃতি।
গত শতকের শেষ দিক থেকেই জৌলুস হারাতে শুরু করে পাবনার তাঁতের শাড়ি। নারীদের দৈনন্দিন পোশাক ও রুচির বদল, পুরুষদেরও লুঙ্গি ছেড়ে প্যান্ট, ট্রাউজারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার প্রবণতা বাজার সংকোচনের উল্লেখযোগ্য কারণ। তার ওপর শ্রমিক ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। বেড়েছে ব্যাঙ্ক লোন ও সুদের জটিলতাও। ফলে, প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পূর্বপুরুষের পেশা ছেড়েছেন অনেকে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক শামীম হোসেন আশ্বাস করে বলেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁত কাপড়ের নকশা ও ধরনে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে সহযোগিতা করা হবে।
তাঁত বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে পাবনায় তাঁতের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৯৭৫টি। ২০২৪ সালে সে সংখ্য নেমে এসেছে ১৬ হাজারে। প্রায় বিলীন হতে চলেছে হস্তচালিত তাঁত।
রিপোর্ট : রি. জ. /সা.সি
পদ্মা যমুনা পাড়ের প্রায় দুশ’ বছরের প্রাচীন জনপদ পাবনা। এখানকার মানুষের জীবন-জীবিকা আর লোকসংস্কৃতির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে তাঁতের কাপড় আর তাঁতিদের গল্পগাঁথা। এক সময় জেলার অর্থনীতিই ছিলো তাঁত শিল্পনির্ভর। তাঁতের শাড়ি, লুঙ্গির পাশাপাশি বিশ^জোড়া সুনাম ছিল পাবনার মসলিন কাপড়েরও। এখন সবই সেই সোনালী দিনের স্মৃতি।
গত শতকের শেষ দিক থেকেই জৌলুস হারাতে শুরু করে পাবনার তাঁতের শাড়ি। নারীদের দৈনন্দিন পোশাক ও রুচির বদল, পুরুষদেরও লুঙ্গি ছেড়ে প্যান্ট, ট্রাউজারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার প্রবণতা বাজার সংকোচনের উল্লেখযোগ্য কারণ। তার ওপর শ্রমিক ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধিতে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। বেড়েছে ব্যাঙ্ক লোন ও সুদের জটিলতাও। ফলে, প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পূর্বপুরুষের পেশা ছেড়েছেন অনেকে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক শামীম হোসেন আশ্বাস করে বলেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁত কাপড়ের নকশা ও ধরনে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে সহযোগিতা করা হবে।
তাঁত বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে পাবনায় তাঁতের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৯৭৫টি। ২০২৪ সালে সে সংখ্য নেমে এসেছে ১৬ হাজারে। প্রায় বিলীন হতে চলেছে হস্তচালিত তাঁত।
রিপোর্ট : রি. জ. /সা.সি