ATN
শিরোনাম
  •  

মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ, ১৪ ককটেল উদ্ধার

         
মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ, ১৪ ককটেল উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন গুলিবিদ্ধ, ১৪ ককটেল উদ্ধার

মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় ওই গ্রাম থেকে ১৪টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পোঁছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে।

জানা গেছে, হোগলাকান্দির গ্রামের গাজী গোষ্ঠী ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার বিকেলে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ব্যাপক দুই পক্ষই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, এতে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, মহিউদ্দিন মোল্লা (৩৫), সাকিব মোল্লা (৩০) ও আকাশ মোল্লা (২৫)। এ ছাড়া, আহত হয়েছেন সাব্বির মোল্লা (২২) নামে আরও একজন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, তিনজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একজনকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মোল্লা গোষ্ঠীর চরকেওয়ার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জালাল মোল্লা বলেন, ‘গাজী গোষ্ঠীর লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে আমাদের গোষ্ঠীর লোকজন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। এ কারণে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করা হয়। এসময় গুলি চালানো ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় গাজী গোষ্ঠীর লোকজন।’

প্রতিপক্ষ গাজী গোষ্ঠীর চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দেলোয়ার গাজী বলেন, ‘আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। মসজিদের বাইরে ১৩-১৪ বছরের ২ শিশুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আমার জানার পর বিচার করার আশ্বাস দিয়েছিলাম। এরপর শুনি দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে, আহতও হয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম সাইফুল আলম বলেন, গোলাগোলির খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালালে বিবাদমান গোষ্ঠিগুলো গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখনো অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ১৪টি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ