ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরের সবশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপকূলে আসলে ম্যারিনেট নামের জাহাজটির দখল নেয় ইসরায়েলি সৈন্যরা। এদিকে, বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর বাধার মুখে গাজায় প্রতীকী মানবিক সহায়তা না পৌঁছাতে পারলেও, বিশ্ব দরবারে মানবতার পক্ষে দুর্বার সাহসের অনন্য এক নজির স্থাপন করলো, নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা।
এভাবেও কী বেঁচে থাকা যায়? প্রিয় বাবাকে ডাকতে না পারায়, মায়ের মমতাকে আঁকরে ধরতে না পারায় কিংবা ভাই-বোনের খুনসুটির চির বিয়োগ ব্যাথায়? এমনিতেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিন। যেখানে দিন কাটে এখনও যা অবশিষ্ট আছে, তা হারানোর শংকায়। খাবার নেই, ওষুধ নেই, জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই; যা আছে তা কেবল দখলদারের বিরুদ্ধে টিকে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সেই চেতনাকে সাহস দিতে ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখে রওনা করেছিলো বিভিন্ন দেশের অকুতোভয় স্বেচ্ছাসেবীদের নৌবহর, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। দীর্ঘ যাত্রাপথে শুরু থেকেই যে আশংকা করা হচ্ছিলো তাই অবশেষে সত্য হয়েছে। ইসরাইলী বাহিনী আটকে দিয়েছে নৌবহর। ত্রাণ পৌঁছাবে কিনা জানা না থাকলেও, এরফলে যে দৃষ্টান্ত তৈরী হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই মাইলফলক।
মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে যে অস্থিরতা চলছে, সেখানে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক। তারমতে, আটক ৩৭ দেশের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিনিয়ত তাদের পাঠানো ভিডিও বার্তায়, বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করেছে। যার ফলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে চুপ থাকার প্রবণতা কিছুটা হলেও এবার পরিবর্তিত হবে।
ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষক এর মতে, একদিকে রক্তের হলি খেলা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করার মধ্য দিয়ে ইসরাইলের বার্তা হলো, অস্ত্র বিরতি চুক্তি কিংবা সংকটের আশু স্থায়ী সমাধানে তারা মোটেও আগ্রহী নয়।
রিপোর্ট : স. আ. / সা. সি
এভাবেও কী বেঁচে থাকা যায়? প্রিয় বাবাকে ডাকতে না পারায়, মায়ের মমতাকে আঁকরে ধরতে না পারায় কিংবা ভাই-বোনের খুনসুটির চির বিয়োগ ব্যাথায়? এমনিতেই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিন। যেখানে দিন কাটে এখনও যা অবশিষ্ট আছে, তা হারানোর শংকায়। খাবার নেই, ওষুধ নেই, জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই; যা আছে তা কেবল দখলদারের বিরুদ্ধে টিকে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার।
সেই চেতনাকে সাহস দিতে ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখে রওনা করেছিলো বিভিন্ন দেশের অকুতোভয় স্বেচ্ছাসেবীদের নৌবহর, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। দীর্ঘ যাত্রাপথে শুরু থেকেই যে আশংকা করা হচ্ছিলো তাই অবশেষে সত্য হয়েছে। ইসরাইলী বাহিনী আটকে দিয়েছে নৌবহর। ত্রাণ পৌঁছাবে কিনা জানা না থাকলেও, এরফলে যে দৃষ্টান্ত তৈরী হয়েছে তা নিশ্চিতভাবেই মাইলফলক।
মধ্য প্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে যে অস্থিরতা চলছে, সেখানে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক। তারমতে, আটক ৩৭ দেশের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিনিয়ত তাদের পাঠানো ভিডিও বার্তায়, বিশ্ববাসীকে সোচ্চার করেছে। যার ফলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ নিয়ে চুপ থাকার প্রবণতা কিছুটা হলেও এবার পরিবর্তিত হবে।
ভূ-রাজনীতি বিশ্লেষক এর মতে, একদিকে রক্তের হলি খেলা, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্বেচ্ছাসেবীদের আটক করার মধ্য দিয়ে ইসরাইলের বার্তা হলো, অস্ত্র বিরতি চুক্তি কিংবা সংকটের আশু স্থায়ী সমাধানে তারা মোটেও আগ্রহী নয়।
রিপোর্ট : স. আ. / সা. সি