কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিদিন হাতখুলে দান করে মানুষ। টাকা-পয়সা, সোনাদানার পাশাপাশি গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগীও দান করা হয়। মনোবাসনা পূরণের আশায় শুধু মুসলমান নয়, অন্যান্য ধর্মের মানুষও দান করেন।
গত শনিবার (১৯ আগস্ট) মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা ভর্তি প্রায় পৌনে ৬ কোটি টাকা পাওয়া যায়। যা মসজিদটির দানবাক্সে পাওয়া সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা। মানুষ কেন এত দান করেন এ মসজিদে? কোন কাজে খরচ হবে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ?
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম প্রান্তে হারুয়া এলাকায় পাগলা মসজিদ। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা মসজিদটি জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। জনশ্রুতি রয়েছে, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিল কদর পাগলা সাহেব নামে এক আধ্যাত্মিক পুরুষ নরসুন্দা নদীর তীরে নামাজ আদায় করতেন। সেখানেই গড়ে ওঠে এই মসজিদ।
তাঁর নামানুসারেই ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এ ধর্মীয় স্থাপনা মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। প্রচলিত বিশ্বাস, পাগলা মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ আসেন মসজিদ কমপ্লেক্সে।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার নারী-পুরুষের ঢল নামে। কেবল মুসলান নয়, সব ধর্মের মানুষের মানত করে থাকেন এ মসজিদে। সাধারণত তিনমাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। সবশেষ শনিবার খোলা হয় ৮টি বাক্স। পাওয়া যায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।
এর আগে, মে যখন খোলা হয়েছিল, তার চেয়ে ১৯ লাখ টাকা এবার বেশি। দিন দিন বেড়ে চলেছে মসজিদের আয়। টাকার সাথে পাওয়া যায় সোনাদানা ও হীরার মতো মূল্যবান সামগ্রী। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জন্য এবার প্রয়োজন হয়েছে ২৩টি বস্তা।
আর গুনতে সাহায্য লেগেছে মাদ্রাসা ছাত্র, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় দুশ’ মানুষের। অর্থ-সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ৩১ সদস্যের ওয়াকফ কমিটি রয়েছে। সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র। কী করা হয় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে?
এই জিজ্ঞাসার জবাবে মসজিদ পরিচালনা কমিটি বলছে, মসজিদের উন্নয়ন, মাদ্রাসার গরীব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা এবং দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় সহযোগিতা দেয়া হয়। মসজিদ ঘিরে একটি আন্তর্জাতিক মানের বহুতল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
যেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। যার প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। দ্রুতই শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।
ডেস্ক রিপোর্ট : সৈকত দাশ গুপ্ত
গত শনিবার (১৯ আগস্ট) মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা ভর্তি প্রায় পৌনে ৬ কোটি টাকা পাওয়া যায়। যা মসজিদটির দানবাক্সে পাওয়া সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা। মানুষ কেন এত দান করেন এ মসজিদে? কোন কাজে খরচ হবে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ?
কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম প্রান্তে হারুয়া এলাকায় পাগলা মসজিদ। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা মসজিদটি জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। জনশ্রুতি রয়েছে, ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিল কদর পাগলা সাহেব নামে এক আধ্যাত্মিক পুরুষ নরসুন্দা নদীর তীরে নামাজ আদায় করতেন। সেখানেই গড়ে ওঠে এই মসজিদ।
তাঁর নামানুসারেই ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়। এ ধর্মীয় স্থাপনা মানুষের বিশ্বাস, আস্থা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। প্রচলিত বিশ্বাস, পাগলা মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ আসেন মসজিদ কমপ্লেক্সে।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার নারী-পুরুষের ঢল নামে। কেবল মুসলান নয়, সব ধর্মের মানুষের মানত করে থাকেন এ মসজিদে। সাধারণত তিনমাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। সবশেষ শনিবার খোলা হয় ৮টি বাক্স। পাওয়া যায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।
এর আগে, মে যখন খোলা হয়েছিল, তার চেয়ে ১৯ লাখ টাকা এবার বেশি। দিন দিন বেড়ে চলেছে মসজিদের আয়। টাকার সাথে পাওয়া যায় সোনাদানা ও হীরার মতো মূল্যবান সামগ্রী। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জন্য এবার প্রয়োজন হয়েছে ২৩টি বস্তা।
আর গুনতে সাহায্য লেগেছে মাদ্রাসা ছাত্র, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় দুশ’ মানুষের। অর্থ-সম্পদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ৩১ সদস্যের ওয়াকফ কমিটি রয়েছে। সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র। কী করা হয় এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে?
এই জিজ্ঞাসার জবাবে মসজিদ পরিচালনা কমিটি বলছে, মসজিদের উন্নয়ন, মাদ্রাসার গরীব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা এবং দরিদ্র মানুষের চিকিৎসায় সহযোগিতা দেয়া হয়। মসজিদ ঘিরে একটি আন্তর্জাতিক মানের বহুতল কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
যেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। যার প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। দ্রুতই শুরু হবে প্রকল্পের কাজ।
ডেস্ক রিপোর্ট : সৈকত দাশ গুপ্ত