রংপুরে কবরের মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে প্রহারে নিহত ১
রংপুরের তারাগঞ্জে কবরের মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে বাগ্বিতণ্ডার জেরে প্রতিপক্ষের প্রহারে সালেকুজ্জামান (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার ভোরে কবরের মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক জানান, প্রহারের ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার নথিগত্র, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড়বাড়ি গ্রামের আবদুল জব্বারের সঙ্গে সালেকুজ্জামানের ভাইদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর সালেকুজ্জামানের ভাই আব্দুল ছালেক পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবর জেয়ারত করতে যান। ওই সময় তিনি দেখতে পান, কবরের মাটি তুলে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আব্দুল জব্বারের ছেলে বাবু মিয়ার সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাবু মিয়া, তার ভাই লেবু মিয়া, দুলাল মিয়া ও চান মিয়া মিলে ছালেককে প্রহার করেন। খবর পেয়ে ছুটে যান আবদুল ছালেকের ভাই সালেকুজ্জামান ও মাহবুবুর রহমান। এরপর তারাও হামলার শিকার হন। এ সময় সালেকুজ্জামানের মাথায় খুন্তি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সালেকুজ্জামানের ভাতিজা জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নির্দোষ চাচারে মাইরা ফেলছে। আমার বাবাও (মাহবুবুর রহমান) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তেছে। আমরারে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিছে। আমরা খুনির বিচার চাই, আমার চাচার হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’
তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক বলেন, এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/টুবন
আজ শনিবার সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার ভোরে কবরের মাটি তোলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক জানান, প্রহারের ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার নথিগত্র, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর বড়বাড়ি গ্রামের আবদুল জব্বারের সঙ্গে সালেকুজ্জামানের ভাইদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর সালেকুজ্জামানের ভাই আব্দুল ছালেক পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবর জেয়ারত করতে যান। ওই সময় তিনি দেখতে পান, কবরের মাটি তুলে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আব্দুল জব্বারের ছেলে বাবু মিয়ার সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাবু মিয়া, তার ভাই লেবু মিয়া, দুলাল মিয়া ও চান মিয়া মিলে ছালেককে প্রহার করেন। খবর পেয়ে ছুটে যান আবদুল ছালেকের ভাই সালেকুজ্জামান ও মাহবুবুর রহমান। এরপর তারাও হামলার শিকার হন। এ সময় সালেকুজ্জামানের মাথায় খুন্তি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সালেকুজ্জামানের ভাতিজা জান্নাতুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নির্দোষ চাচারে মাইরা ফেলছে। আমার বাবাও (মাহবুবুর রহমান) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়তেছে। আমরারে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিছে। আমরা খুনির বিচার চাই, আমার চাচার হত্যাকারীর ফাঁসি চাই।’
তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক বলেন, এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/টুবন
