ATN
শিরোনাম
  •  

যৌন কেলেঙ্কারি ঘিরে ‘প্রিন্স’ উপাধি হারাচ্ছেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হচ্ছে রয়্যাল লজ প্রাসাদও

         
যৌন কেলেঙ্কারি ঘিরে ‘প্রিন্স’ উপাধি হারাচ্ছেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হচ্ছে রয়্যাল লজ প্রাসাদও

যৌন কেলেঙ্কারি ঘিরে ‘প্রিন্স’ উপাধি হারাচ্ছেন অ্যান্ড্রু, ছাড়তে হচ্ছে রয়্যাল লজ প্রাসাদও

সপ্তাহ দুয়েক আগেও তিনি ছিলেন ডিউক অফ ইয়র্ক। আর্ল অফ ইনভারনেস এবং বহু রাজকীয় খেতাবের অধিকারী প্রিন্স অ্যান্ড্র। এখন তিনি শুধুই অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর। জেফ্রি এপস্টেইনের সাথে সম্পর্ক নিয়ে চলা বিতর্কের জেরে তাঁর রাজকীয় মর্যাদা কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন স্বয়ং রাজা তৃতীয় চার্লস।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে এই প্রথম নয়, যখন কোনো সদস্যের ওপর এমন কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হলো। প্রায় এক শতক আগে, ১৯১৭ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির পক্ষ নেয়ায় প্রিন্স চার্লস এডওয়ার্ডকেও তাঁর 'ডিউক অব আলবানি' খেতাব হারাতে হয়েছিল। সেই নজিরবিহীন ঘটনার আবারো পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

রাজা চার্লস তার ছোট ভাই অ্যানড্রুয়ের সমস্ত রাজকীয় খেতাব প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। বাকিংহাম প্যালেস জানায়, এই পদক্ষেপের কারণে রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে অ্যান্ড্রুর প্রাপ্য ভাতা এবং উইন্ডসরে বরাদ্দ রাজকীয় বাসভবন রয়্যাল লজ’-এ বসবাসের অধিকারও বাতিল করা হয়েছে।

অ্যান্ড্রুকে রাজার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটের একটি বাড়িতে থাকতে দেওয়া হবে। যার খরচ ব্যক্তিগতভাবে রাজা চার্লস বহন করবেন। তবে রাজকীয় ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার আয়ের একমাত্র উৎস থাকবে নেভি থেকে পাওয়া বার্ষিক ২০ হাজার পাউন্ড পেনশন।

এই সব সত্ত্বেও, তিনি কিন্তু এখনও ব্রিটিশ সিংহাসনের অষ্টম উত্তরাধিকারী। রাজপরিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সরাতে হলে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সম্মতিতে আইন প্রণয়ন করতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ। এদিকে, অ্যান্ড্রুর সাবেক স্ত্রী সারা ফার্গুসনও রয়্যাল লজ ছাড়ছেন। তবে তাদের দুই কন্যা প্রিন্সেস বিট্রিস ও ইউজেনি তাদের রাজকুমারী খেতাব ধরে রাখবেন।

অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ জনমতও তাঁর বিপক্ষে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় ৯১ শতাংশ ব্রিটিশ নাগরিক অ্যান্ড্রু সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা ভার্জিনিয়া জিউফ্রের পরিবার এই পদবি প্রত্যাহারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

তবে এই শাস্তিই যথেষ্ট নয় বলে মনে করে 'রিপাবলিক'-এর মতো অ্যাক্টিভিস্ট গোষ্ঠী। বহু বছরের এই কেলেঙ্কারির পর রাজপরিবার অ্যান্ড্রুকে 'বহিষ্কার' করলেও, ব্রিটিশ জনগণ কি এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হবেন? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

রিপোর্ট : সানজিদা সিলভিয়া / সা. সি

পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বিশ্ব সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ