পাবনার বৃহৎ সাঁথিয়া মৎস প্রজনন কেন্দ্র বন্ধ দুই দশক
দীর্ঘ দুই দশক ধরে বন্ধ পাবনার অন্যতম বৃহৎ সাঁথিয়া মৎস প্রজনন কেন্দ্র। ২০০৬ সালের পর জবর-দখলে নেয় প্রভাবশালীরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে দখলমুক্ত হলেও, লুট হয়ে গেছে কোটি টাকার সম্পদ, পরিণত হয়েছে মাদকসেবীদের আখড়ায়।
১৯৯০ সালে পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় এ প্রজনন কেন্দ্রটি গড়ে তোলে মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রায় ৩৭ বিঘা জমিতে খনন করা হয় ১০টি পুকুর। স্থাপন করা হয় পানি সরবরাহের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প, আধুনিক আলোকবাতি, পোনা উৎপাদনের আধুনিক হ্যাচারি। এক সময় যে প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কেজি পোনা মাছ উৎপাদন হতো, এখন তা সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত।
টানা ১৬ বছর উৎপাদনের পর মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় ২০০৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। অরক্ষিত হয়ে পড়ে সুবিশাল কেন্দ্রটি অবৈধ দখলে নিয়ে ব্যক্তিগত খামার গড়ে তোলেন তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছেলে, বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দখল ফিরে পায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাবনা সাঁথিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন অবৈধ দখল আর দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় চুরি হয়ে গেছে সেচ পম্প, মূল্যবান বৃক্ষ, অর্ধ শত ফ্লাড লাইটসহ বৈদ্যুতিক পোল। শুকিয়ে গেছে পুকুর, লুট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পদ।
পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন প্রজননকেন্দ্রটি আবার চালু করার দাবি করেন অংশীজনরা।
রিপোর্ট : অ. / সা. সি
১৯৯০ সালে পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় এ প্রজনন কেন্দ্রটি গড়ে তোলে মৎস্য অধিদপ্তর।
প্রায় ৩৭ বিঘা জমিতে খনন করা হয় ১০টি পুকুর। স্থাপন করা হয় পানি সরবরাহের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প, আধুনিক আলোকবাতি, পোনা উৎপাদনের আধুনিক হ্যাচারি। এক সময় যে প্রজনন কেন্দ্র থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজার কেজি পোনা মাছ উৎপাদন হতো, এখন তা সম্পূর্ণ পরিত্যক্ত।
টানা ১৬ বছর উৎপাদনের পর মেয়াদ বৃদ্ধি না হওয়ায় ২০০৬ সালে বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পটি। অরক্ষিত হয়ে পড়ে সুবিশাল কেন্দ্রটি অবৈধ দখলে নিয়ে ব্যক্তিগত খামার গড়ে তোলেন তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর ছেলে, বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দখল ফিরে পায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পাবনা সাঁথিয়ার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন অবৈধ দখল আর দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় চুরি হয়ে গেছে সেচ পম্প, মূল্যবান বৃক্ষ, অর্ধ শত ফ্লাড লাইটসহ বৈদ্যুতিক পোল। শুকিয়ে গেছে পুকুর, লুট হয়েছে কয়েক কোটি টাকার সরকারি সম্পদ।
পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন প্রজননকেন্দ্রটি আবার চালু করার দাবি করেন অংশীজনরা।
রিপোর্ট : অ. / সা. সি
