ATN
শিরোনাম
  •  

ইসরায়েলি অবরোধে স্থবির গাজা পুনর্গঠনের কাজ, নতুন আতঙ্ক অবিস্ফোরিত বোমা

         
ইসরায়েলি  অবরোধে স্থবির গাজা পুনর্গঠনের কাজ, নতুন আতঙ্ক অবিস্ফোরিত বোমা

ইসরায়েলি অবরোধে স্থবির গাজা পুনর্গঠনের কাজ, নতুন আতঙ্ক অবিস্ফোরিত বোমা

ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনো চাপা পড়ে আছে ফিলিস্তিনিদের অসংখ্য মৃতদেহ। নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে ইসরায়েলিদের ফেলে যাওয়া হাজার হাজার টন অবিস্ফোরিত বোমা। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে কার্যত স্থবির গাজা পুনর্গঠনের কাজ। তবে, গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান হলে অস্ত্র ছাড়তে রাজি বলে জানিয়েছে হামাস।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর বাড়ি ফিরেও স্বস্তি নেই ফিলিস্তিনিদের। পুরো এলাকাই এক নতুন মৃত্যুফাঁদ। বসতি স্থাপন করতে গিয়ে মিলছে ইসরায়েলি সাঁজোয়া যান ও বিপজ্জনক সব অস্ত্র।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল ২ লাখ টন বোমা ফেললেও প্রায় ৭০ হাজার টন বোমা এখনো অবিস্ফোরিত। অন্যদিকে ইসরায়েলি অবরোধের কারণে ভারী যন্ত্রপাতি ঢুকতে না পারায় থেমে গেছে ধ্বংসস্তুপ সরানো ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজ।

আল জাজিরার এক রিপোর্টার জানান, প্রায় ৯ হাজার ফিলিস্তিনির মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে। নতুন যন্ত্রপাতিগুলো শুধু ইসরায়েলি বন্দিদের মৃতদেহ উদ্ধারেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মিসর ও আন্তর্জাতিক রেডক্রস-IRC ইসরায়েলের অনুমতিতে জিম্মিদের মরদেহ উদ্ধারের কাজে যোগ দিয়েছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রও হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে, হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান হলে, অস্ত্র ছাড়তে রাজি তারা।

এমন জটিল পরিস্থিতিতে রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় কোন বিদেশি বাহিনী কাজ করতে পারবে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা শুধু ইসরায়েলের।

এদিকে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম জাতিসংঘ মহাসচিবকে গাজায় শান্তিরক্ষী পাঠাতে তাদের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা-OIC সদস্যদসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে গাজায় এই শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দিতে তারা প্রস্তুত।

ধ্বংসস্তুপ আর অবিস্ফোরিত বোমার মারাত্মক ঝুঁকি মাথায় নিয়েই গাজাবাসী পার করছেন যুদ্ধবিরতির তৃতীয় সপ্তাহ। শত প্রতিকূলতার মাঝে বেঁচে থাকাই তাদের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।

রিপোর্ট : সানজিদা সিলভিয়া / সা. সি
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বিশ্ব সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ