ATN
শিরোনাম
  •  

কুয়ালালামপুরে আসিয়ান সম্মেলন, শুরুতেই থাই-কম্বোডিয়ার ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি

         
কুয়ালালামপুরে আসিয়ান সম্মেলন, শুরুতেই থাই-কম্বোডিয়ার ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি

কুয়ালালামপুরে আসিয়ান সম্মেলন, শুরুতেই থাই-কম্বোডিয়ার ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে শুরু হলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানের ৪৭তম শীর্ষ সম্মেলন। শুরুতেই এই মঞ্চেই সই হলো থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে এক ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বাণিজ্যসহ নানা আলোচনা হবে নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এবারের আসিয়ান সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য—অন্তর্ভুক্তি ও স্থায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ প্রায় ৩০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এতে অংশ নিচ্ছেন।

আলোচিত কূটনৈতিক এই আয়োজনে অংশ নিতে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেই অন্যরকম আনন্দে মেতে উঠেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বিমানবন্দরে স্থানীয় শিল্পীদের নৃত্য পরিবেশনার মাঝেই ট্রাম্প নিজের পরিচিত ফিস্ট-পাম্পিং ভঙ্গিতে নেচে উঠেন।

এরপর সম্মেলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর। এর পরপরই ট্রাম্প কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি এবং থাইল্যান্ডের সাথে একটি খনিজ চুক্তির ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প বলেন, থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর তাদের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে এবং তার প্রশাসন সংঘাত থামাতে সক্ষম হয়েছে। ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি শান্তিচুক্তি করাতে অত্যন্ত পারদর্শী এবং এক্ষেত্রে তিনি জাতিসংঘের চেয়ে অনেক ভালো কাজ করেন। চুক্তির ঠিক আগে, যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য দু’দেশই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।

এবারের সম্মেলনে আরেকটি মূল আকর্ষণ হচ্ছে পূর্ণ সদস্য হিসেবে পূর্ব তিমুরকে স্বাগত জানানো ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রচেষ্টার পর এই জোটের সদস্যপদ পেল দেশটি।

বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে সম্মেলনটিতে। এর ফাঁকে আসিয়ান জোটের নেতাদের মধ্যে সাইডলাইন বৈঠকেরও কথা রয়েছে। তবে ভারতে চলমান দীপাবলি উৎসবের কারণে এবার ভার্চুয়ালি সেখানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সম্মেলনকে ১৯৭৬ সালের পর সবচেয়ে বড় আয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। যা চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

রিপোর্ট : সা. সি/টুবন
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বিশ্ব সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ