ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে ৮-১৪ নভেম্বর হওয়ার কথা এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। কিন্তু ঢাকা স্টেডিয়াম থেকে এশিয়ান আর্চারি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সিদ্ধান্ত জানার পর ভীষণ বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশন। প্রশ্ন হচ্ছে আদৌ কি সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানবে ওয়ার্ল্ড আর্চারি? শেষ পর্যন্ত কি বাংলাদেশ থেকে সরে যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা?
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের কারণে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামী ১৩ অক্টোবর রাত ৮টায় ঢাকা স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ফিফা প্রীতি ম্যাচ। অথচ এই স্টেডিয়ামকে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ও এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশন। ৮- ১৪ নভেম্বর ঢাকায় হবে এশিয়ান আর্চারি। দুই বছর আগে চীনকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড আর্চারি থেকে স্বাগতিক হওয়ার অনুমতি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ফিফা প্রীতি ম্যাচটি হঠাৎ করে হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভেন্যু সঙ্কটে ভুগতে থাকা বাফুফের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে আর্চারি ফেডারেশনের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু শনিবার বিকেলে ঢাকা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা ও কূটনীতিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পরিস্কার করে বলেন, ‘আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ ঢাকা স্টেডিয়ামে হবে না।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে এশিয়ার অন্তত ৪০টি দেশ। এই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে ঢাকায় সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এশিয়ান আর্চারি থেকে ভেন্যু পরিদর্শন করে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। ঢাকার অধিকাংশ পাঁচ তারকা হোটেলে বিভিন্ন দেশের আর্চারদের বুকিং দেওয়া শেষ। শুধু তাই নয়, ঢাকাতে হবে এশিয়ান আর্চারির কংগ্রেস। শেষ মুহূর্তে যদি ভেন্যু বদলে যায় তাহলে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে ক্ষুন্ন হতে পারে। এমনকি ভবিষ্যতে এমন বড় আয়োজনের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার আবেদন করলেন আর্চারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইসি কমিটির সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ দাবি করলেন বাফুফেকে পুরো বিষয় আগে থেকেই জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় ফেডারেশন কার্যালয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে তানভীর জানান, এভাবে ভেন্যু সরিয়ে নিলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। অন্য কোনো ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চাইলেও ওয়ার্ল্ড আর্চারি রাজি নাও হতে পারে। ভেন্যু বাতিলের শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভেন্যু নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতায় পড়ে অনিশ্চয়তায় এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন। প্রস্তুতি শেষ, আগ্রহ তুঙ্গে — অথচ এখন ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশের আয়োজক মর্যাদা। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা শুধুই মাঠে তির-ধনুকের লড়াই নয়, এখানে জড়িয়ে আছে দেশের ভাবমূর্তি। তাই শেষ মুহূর্তে সরকারের সিদ্ধান্তে যেন না ভোগে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন — এমনটাই প্রত্যাশা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের কারণে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামী ১৩ অক্টোবর রাত ৮টায় ঢাকা স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ফিফা প্রীতি ম্যাচ। অথচ এই স্টেডিয়ামকে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ও এশিয়ান আর্চারি ফেডারেশন। ৮- ১৪ নভেম্বর ঢাকায় হবে এশিয়ান আর্চারি। দুই বছর আগে চীনকে হারিয়ে ওয়ার্ল্ড আর্চারি থেকে স্বাগতিক হওয়ার অনুমতি পায় বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ফিফা প্রীতি ম্যাচটি হঠাৎ করে হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভেন্যু সঙ্কটে ভুগতে থাকা বাফুফের সঙ্গে গত কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে আর্চারি ফেডারেশনের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনাও হয়েছে। কিন্তু শনিবার বিকেলে ঢাকা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা ও কূটনীতিকদের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শেষে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পরিস্কার করে বলেন, ‘আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ ঢাকা স্টেডিয়ামে হবে না।
এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে এশিয়ার অন্তত ৪০টি দেশ। এই প্রতিযোগিতা সামনে রেখে ঢাকায় সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এশিয়ান আর্চারি থেকে ভেন্যু পরিদর্শন করে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। ঢাকার অধিকাংশ পাঁচ তারকা হোটেলে বিভিন্ন দেশের আর্চারদের বুকিং দেওয়া শেষ। শুধু তাই নয়, ঢাকাতে হবে এশিয়ান আর্চারির কংগ্রেস। শেষ মুহূর্তে যদি ভেন্যু বদলে যায় তাহলে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে ক্ষুন্ন হতে পারে। এমনকি ভবিষ্যতে এমন বড় আয়োজনের স্বাগতিক হওয়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হতে পারে বাংলাদেশ। তাই সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার আবেদন করলেন আর্চারি ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইসি কমিটির সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল।
আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ দাবি করলেন বাফুফেকে পুরো বিষয় আগে থেকেই জানিয়েছেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় ফেডারেশন কার্যালয়ে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে তানভীর জানান, এভাবে ভেন্যু সরিয়ে নিলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। অন্য কোনো ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চাইলেও ওয়ার্ল্ড আর্চারি রাজি নাও হতে পারে। ভেন্যু বাতিলের শঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভেন্যু নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতায় পড়ে অনিশ্চয়তায় এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন। প্রস্তুতি শেষ, আগ্রহ তুঙ্গে — অথচ এখন ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশের আয়োজক মর্যাদা। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা শুধুই মাঠে তির-ধনুকের লড়াই নয়, এখানে জড়িয়ে আছে দেশের ভাবমূর্তি। তাই শেষ মুহূর্তে সরকারের সিদ্ধান্তে যেন না ভোগে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন — এমনটাই প্রত্যাশা ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
