দিনাজপুরের গুঞ্জাবাড়ী এলাকার বধির ইনস্টিটিউটের নজির : রাবেয়া খাতুন
শব্দহীন দুনিয়ায়ও কেউ কেউ ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলেন নতুন এক ভাষা— মায়ার ভাষা। দিনাজপুরের গুঞ্জাবাড়ী এলাকার বধির ইনস্টিটিউটে তেমনই এক শিক্ষক, যিনি ৩৫ বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে। নিবেদিতপ্রাণ সেই শিক্ষক রাবেয়া খাতুন।
শিক্ষকের টেবিল ঘিরে জনাদশেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী। কেউ লিখছে, কেউ ইশারায় কথা বলছে। তাদের মাঝে হাসিমুখে শিক্ষক রাবেয়া খাতুন। ভালোবাসার ভাষায় চলছে পাঠদান।
দিনাজপুর শহরের গুঞ্জাবাড়ি এলাকায় দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটে, শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার হিসেবে ৩৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন রাবেয়া খাতুন। ভোর থেকে বধির শিশুদের পড়াশোনা, খাওয়া, গোসল, খেলাধুলা, ঘুম সব কিছুই তার দায়িত্বে। অথচ তার কোনো সরকারি বেতন নেই। স্থানীয় অনুদান থেকে মাসে মাত্র ছয়শ’ টাকা ভাতা পান। তবুও তার অভিযোগ নেই কোনো।
স্বামী মারা গেছেন ২০১৮ সালে। তিন পুত্রের জননী রাবেয়া খাতুন। তাদের মধ্যে দুজন বাকপ্রতিবন্ধী। নিজের সন্তানদের মতো মায়ের মমতায় তিনি আগলে রাখেন এই শিশুদের।
১৯৮৯ সালে বদিউল আলম নামে এক অভিভাবক মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেন এই ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থী বেড়ে আজ একশোরও বেশি। ১৯৯২ সালে হাল ধরেন গণমাধ্যমকর্মী আজাহারুল আজাদ। পরে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মা তৈয়বা মজুমদার। ২০০৫ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করে। উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
নাজনীন আক্তার, প্রধান শিক্ষক, দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউট সরকারি অনুদান ও বেতন কাঠামো না থাকায় থেমে আছে অনেক কার্যক্রম। রাকেয়া খাতুনের মতো আজও শিক্ষকদের কেউ ৩০-৩৫ বছর ধরে বিনাবেতনে বধির শিশুদের শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন, কেবল ভালোবাসা থেকে।
রিপোর্ট : ত. / সা. সি
শিক্ষকের টেবিল ঘিরে জনাদশেক ক্ষুদে শিক্ষার্থী। কেউ লিখছে, কেউ ইশারায় কথা বলছে। তাদের মাঝে হাসিমুখে শিক্ষক রাবেয়া খাতুন। ভালোবাসার ভাষায় চলছে পাঠদান।
দিনাজপুর শহরের গুঞ্জাবাড়ি এলাকায় দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটে, শিক্ষক ও হোস্টেল সুপার হিসেবে ৩৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন রাবেয়া খাতুন। ভোর থেকে বধির শিশুদের পড়াশোনা, খাওয়া, গোসল, খেলাধুলা, ঘুম সব কিছুই তার দায়িত্বে। অথচ তার কোনো সরকারি বেতন নেই। স্থানীয় অনুদান থেকে মাসে মাত্র ছয়শ’ টাকা ভাতা পান। তবুও তার অভিযোগ নেই কোনো।
স্বামী মারা গেছেন ২০১৮ সালে। তিন পুত্রের জননী রাবেয়া খাতুন। তাদের মধ্যে দুজন বাকপ্রতিবন্ধী। নিজের সন্তানদের মতো মায়ের মমতায় তিনি আগলে রাখেন এই শিশুদের।
১৯৮৯ সালে বদিউল আলম নামে এক অভিভাবক মাত্র পাঁচজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেন এই ইনস্টিটিউট। শিক্ষার্থী বেড়ে আজ একশোরও বেশি। ১৯৯২ সালে হাল ধরেন গণমাধ্যমকর্মী আজাহারুল আজাদ। পরে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মা তৈয়বা মজুমদার। ২০০৫ সালে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণ করে। উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
নাজনীন আক্তার, প্রধান শিক্ষক, দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউট সরকারি অনুদান ও বেতন কাঠামো না থাকায় থেমে আছে অনেক কার্যক্রম। রাকেয়া খাতুনের মতো আজও শিক্ষকদের কেউ ৩০-৩৫ বছর ধরে বিনাবেতনে বধির শিশুদের শিক্ষাদান করে যাচ্ছেন, কেবল ভালোবাসা থেকে।
রিপোর্ট : ত. / সা. সি
