বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুর্দান্ত খেলে চলেছেন লিওনেল মেসি। গত জুনে ৩৮ পেরিয়েছেন। এরই মধ্যে আভাস দিলেন ৪১ বছর বয়সেও থাকবেন ফুটবল মাঠে। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামির সঙ্গে তাইতো করেছেন নতুন করে চুক্তি। কিন্তু কত টাকার বিনিময়ে এবারে চুক্তি করলেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
ফ্রিডম পার্ক ইন্টার মায়ামির নির্মাণাধীন নতুন স্টেডিয়াম। আগামী মৌসুম থেকে এটিই হবে ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ। সেই ক্লাবে বসেই লিওনেল মেসি করলেন নতুন চুক্তি। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চুক্তির ভিডিও প্রকাশ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ লিখেছে, হি ইজ হোম। এর মানে মেসি থাকছেন।
২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে আড়াই বছরের চুক্তিতে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। এ সময় মেসির বার্ষিক মূল বেতন ছিল প্রায় ১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বোনাসসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক মিলিয়ে যা দাঁড়ায় ২০.৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যদিও মায়ামিতে তাঁর বেতনের সঠিক অঙ্ক জানা যায়নি। তবে স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি, মৌসুমপ্রতি ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পাওয়ার পাশাপাশি অন্য কিছু খাত থেকেও আয় করেন মেসি। এবার নতুন বাড়ানো চুক্তি সংক্রান্ত ঘোষণা এসেছে। তবে ঐ চুক্তির আর্থিক মুল্য এবারও গোপন রাখা হয়েছে।
এমএলএসের অন্য ফুটবলারদের চেয়ে মেসির বেতন বহুগুণ বেশি। সাধারণত বড় তারকাদের ক্ষেত্রে বেতন ২০–৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তাই ধারণা করা যায়, শুধু মেসির নতুন বার্ষিক বেতন দাঁড়াতে পারে ৩০ মিলিয়নের মত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। মেসি বেতনের বাইরেও বোনাস ও প্রণোদনা পেয়ে থাকেন ক্লাব থেকে। কিন্তু সাধারণত এগুলো সরাসরি চুক্তিতে প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু মেসির পারফরম্যান্স বোনাস নির্ভর করে তার গোল সংখ্যা, অ্যাসিস্ট, ক্লাবের পারফরম্যান্স ইত্যাদির ওপর। যদি ইন্টার মায়ামি এমএলএস কাপ জেতে বা মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হন অথবা টপ স্কোরার হন তাহলে পান আলাদা টাকা। এরই মধ্যে ২৯ গোল করে গোল্ডেন বুট নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এসব মিলিয়ে বছরে তার সম্ভাব্য অতিরিক্ত আয় হতে পারে আরও ৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
মেসি শুধু বেতনই পান না, ক্লাবের বাণিজ্যিক আয় ও রাজস্ব ভাগও পেয়ে থাকেন। এখানেই মেসির চুক্তি অন্যদের থেকে আলাদা। তিনি শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড় নন, বরং ইন্টার মায়ামির এক ধরনের কমার্শিয়াল পার্টনার। তাইতো অ্যাপল ও অ্যাডিডাস থেকেও আয় করেন মেসি। দুটি প্রতিষ্ঠানই এমএলএসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এমএলএসের ম্যাচগুলো দেখায় অ্যাপল টিভি প্লাস। নতুন সাবস্ক্রাইবারদের ম্যাচ দেখিয়ে যে আয় হয়, সেখান থেকে একটি অংশ মেসি পেয়ে থাকেন। প্রায় ১০ বছরের জন্য আড়াই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে অ্যাপল ও এমএলএসের।
জার্মানির ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস এমএলএসের সবচেয়ে বড় করপোরেট স্পনসর। এমএলএসের সঙ্গে জড়িত থেকে অ্যাডিডাস যে আয় করে, সেখান থেকে মেসির সঙ্গে লভ্যাংশ ভাগ করে প্রতিষ্ঠানটি। মেসি অ্যাডিডাসের মুখপাত্র, এবং ইন্টার মায়ামিরও অফিসিয়াল কিট পার্টনার। তাই ক্লাব মার্চেন্ডাইজ বিক্রিতেও তিনি রয়্যালটি পান। এসব মিলিয়ে মেসির বার্ষিক অতিরিক্ত আয় প্রায় ৪০ মিলিয়ন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা!
যেখানে অনেক ফুটবলার ৪০ ছোঁয়ার আগেই অবসরের কথা ভাবেন, সেখানে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ও বিশ্বকাপজয়ী মেসি যেন উল্টো পথেই হাঁটছেন। তার কাছে বয়স কেবল একটা সংখ্যা—এটাই যেন আবার প্রমাণ করলেন মেসি। যে মানুষটা মাঠে নামলেই জাদু ছড়ান, যার প্রতিটি মুভ দেখতে আজও কোটি ভক্ত মুখিয়ে থাকেন। ইন্টার মায়ামির সঙ্গে সেই যাদুকরের নতুন চুক্তি শুধু একটা কাগুজে ঘোষণা নয়, এটা ফুটবলের প্রতি মেসির অদম্য ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। কোটি ভক্তের প্রতি, আর নিজের প্রতি দায়বদ্ধতারও প্রতীক।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
ফ্রিডম পার্ক ইন্টার মায়ামির নির্মাণাধীন নতুন স্টেডিয়াম। আগামী মৌসুম থেকে এটিই হবে ইন্টার মায়ামির ঘরের মাঠ। সেই ক্লাবে বসেই লিওনেল মেসি করলেন নতুন চুক্তি। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চুক্তির ভিডিও প্রকাশ করে ক্লাব কর্তৃপক্ষ লিখেছে, হি ইজ হোম। এর মানে মেসি থাকছেন।
২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে আড়াই বছরের চুক্তিতে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছিলেন মেসি। এ সময় মেসির বার্ষিক মূল বেতন ছিল প্রায় ১২ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বোনাসসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক মিলিয়ে যা দাঁড়ায় ২০.৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। যদিও মায়ামিতে তাঁর বেতনের সঠিক অঙ্ক জানা যায়নি। তবে স্পেনের সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি, মৌসুমপ্রতি ৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার পারিশ্রমিক পাওয়ার পাশাপাশি অন্য কিছু খাত থেকেও আয় করেন মেসি। এবার নতুন বাড়ানো চুক্তি সংক্রান্ত ঘোষণা এসেছে। তবে ঐ চুক্তির আর্থিক মুল্য এবারও গোপন রাখা হয়েছে।
এমএলএসের অন্য ফুটবলারদের চেয়ে মেসির বেতন বহুগুণ বেশি। সাধারণত বড় তারকাদের ক্ষেত্রে বেতন ২০–৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তাই ধারণা করা যায়, শুধু মেসির নতুন বার্ষিক বেতন দাঁড়াতে পারে ৩০ মিলিয়নের মত। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। মেসি বেতনের বাইরেও বোনাস ও প্রণোদনা পেয়ে থাকেন ক্লাব থেকে। কিন্তু সাধারণত এগুলো সরাসরি চুক্তিতে প্রকাশ করা হয় না। কিন্তু মেসির পারফরম্যান্স বোনাস নির্ভর করে তার গোল সংখ্যা, অ্যাসিস্ট, ক্লাবের পারফরম্যান্স ইত্যাদির ওপর। যদি ইন্টার মায়ামি এমএলএস কাপ জেতে বা মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার নির্বাচিত হন অথবা টপ স্কোরার হন তাহলে পান আলাদা টাকা। এরই মধ্যে ২৯ গোল করে গোল্ডেন বুট নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এসব মিলিয়ে বছরে তার সম্ভাব্য অতিরিক্ত আয় হতে পারে আরও ৮ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
মেসি শুধু বেতনই পান না, ক্লাবের বাণিজ্যিক আয় ও রাজস্ব ভাগও পেয়ে থাকেন। এখানেই মেসির চুক্তি অন্যদের থেকে আলাদা। তিনি শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড় নন, বরং ইন্টার মায়ামির এক ধরনের কমার্শিয়াল পার্টনার। তাইতো অ্যাপল ও অ্যাডিডাস থেকেও আয় করেন মেসি। দুটি প্রতিষ্ঠানই এমএলএসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এমএলএসের ম্যাচগুলো দেখায় অ্যাপল টিভি প্লাস। নতুন সাবস্ক্রাইবারদের ম্যাচ দেখিয়ে যে আয় হয়, সেখান থেকে একটি অংশ মেসি পেয়ে থাকেন। প্রায় ১০ বছরের জন্য আড়াই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে অ্যাপল ও এমএলএসের।
জার্মানির ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস এমএলএসের সবচেয়ে বড় করপোরেট স্পনসর। এমএলএসের সঙ্গে জড়িত থেকে অ্যাডিডাস যে আয় করে, সেখান থেকে মেসির সঙ্গে লভ্যাংশ ভাগ করে প্রতিষ্ঠানটি। মেসি অ্যাডিডাসের মুখপাত্র, এবং ইন্টার মায়ামিরও অফিসিয়াল কিট পার্টনার। তাই ক্লাব মার্চেন্ডাইজ বিক্রিতেও তিনি রয়্যালটি পান। এসব মিলিয়ে মেসির বার্ষিক অতিরিক্ত আয় প্রায় ৪০ মিলিয়ন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা!
যেখানে অনেক ফুটবলার ৪০ ছোঁয়ার আগেই অবসরের কথা ভাবেন, সেখানে ৮ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ও বিশ্বকাপজয়ী মেসি যেন উল্টো পথেই হাঁটছেন। তার কাছে বয়স কেবল একটা সংখ্যা—এটাই যেন আবার প্রমাণ করলেন মেসি। যে মানুষটা মাঠে নামলেই জাদু ছড়ান, যার প্রতিটি মুভ দেখতে আজও কোটি ভক্ত মুখিয়ে থাকেন। ইন্টার মায়ামির সঙ্গে সেই যাদুকরের নতুন চুক্তি শুধু একটা কাগুজে ঘোষণা নয়, এটা ফুটবলের প্রতি মেসির অদম্য ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি। কোটি ভক্তের প্রতি, আর নিজের প্রতি দায়বদ্ধতারও প্রতীক।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
