ভারতে বাস-বাইক সংঘর্ষে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিহত অন্তত ২০
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০ জন যাত্রী। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত অবস্থায় আরও বহু যাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার চিন্নাটেকুরু গ্রামের কাছাকাছি জাতীয় মহাসড়ক-৪৪ এ ঘটে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানায়, বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদগামী কাভেরী ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস ভোর আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে সামনে চলা একটি মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাসে, আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাসটি।
দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৪২ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন যাত্রী জানালা ভেঙে বা জরুরি নির্গমন দিয়ে অল্প আঘাত নিয়ে বের হতে সক্ষম হন। তবে বাকিরা দম বন্ধ হয়ে বা আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। ঘটনাস্থলে পাওয়া বহু মরদেহ চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানায় উদ্ধারকারী দল।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে টানা বৃষ্টিপাত ও তীব্র ধোঁয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়। দগ্ধদের স্থানীয় কুরনুল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন। তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়ক-৪৪ এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং কয়েক ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে, সরকারি সফরে দুবাইয়ে অবস্থানরত অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মুখ্য সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা হবে এবং নিহতদের পরিবারগুলোর পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে সরকার দাঁড়াবে।”
এছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বি. সি. জনার্দন রেড্ডি ও কে. আচনাউডু এক যৌথ বিবৃতিতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং দ্রুত তদন্ত শেষে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
রিপোর্ট এটিএন নিউজ: জেড.এস
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরে কুরনুল জেলার চিন্নাটেকুরু গ্রামের কাছাকাছি জাতীয় মহাসড়ক-৪৪ এ ঘটে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানায়, বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদগামী কাভেরী ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস ভোর আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে সামনে চলা একটি মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর মোটরসাইকেলটি বাসের নিচে আটকে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাসে, আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে বাসটি।
দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে প্রায় ৪২ জন যাত্রী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন যাত্রী জানালা ভেঙে বা জরুরি নির্গমন দিয়ে অল্প আঘাত নিয়ে বের হতে সক্ষম হন। তবে বাকিরা দম বন্ধ হয়ে বা আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। ঘটনাস্থলে পাওয়া বহু মরদেহ চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানায় উদ্ধারকারী দল।
ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। তবে টানা বৃষ্টিপাত ও তীব্র ধোঁয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হয়। দগ্ধদের স্থানীয় কুরনুল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর বাসচালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন। তাদের খুঁজে বের করতে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে একটি মামলা দায়ের করে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়ক-৪৪ এ দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং কয়েক ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে, সরকারি সফরে দুবাইয়ে অবস্থানরত অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি মুখ্য সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা হবে এবং নিহতদের পরিবারগুলোর পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে সরকার দাঁড়াবে।”
এছাড়া রাজ্যের মন্ত্রী বি. সি. জনার্দন রেড্ডি ও কে. আচনাউডু এক যৌথ বিবৃতিতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং দ্রুত তদন্ত শেষে দায়ীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
রিপোর্ট এটিএন নিউজ: জেড.এস