খালেদা জিয়া সুস্থ থাকলে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন: রিজভী
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ থাকলে আগামী নির্বাচনে গণসংযোগে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি যদি সুস্থ থাকেন, নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন।”
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু সেটি নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা কি শুধু দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তা খতিয়ে দেখা দরকার।”
আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখার প্রসঙ্গ তুলে রিজভী প্রশ্ন করেন, “এটি কি কেবল বরোক্রেসি, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র?” তিনি আরও জানান, “আজও চট্টগ্রামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এসব ঘটনা কাকতালীয় নয় এবং জাতিকে চিন্তিত করে তুলছে।”
রিজভী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে একটি মহল সক্রিয় থাকার পাশাপাশি ভারতও বিভিন্ন সময়ে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে সেই চেষ্টাকে সহযোগিতা করেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারত চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল সরকার আসুক, বরং অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।”
২০১৪ সালের নির্বাচনে বড় কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “ভারতের কূটনীতিকেরা সেই সময় এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।”
তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। “ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি ‘মবক্রেসি’ হয়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়,” যোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/জেড.এস
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি যদি সুস্থ থাকেন, নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেবেন।”
অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সরকার ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু সেটি নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। একের পর এক আগুন লাগার ঘটনা কি শুধু দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, তা খতিয়ে দেখা দরকার।”
আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখার প্রসঙ্গ তুলে রিজভী প্রশ্ন করেন, “এটি কি কেবল বরোক্রেসি, নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র?” তিনি আরও জানান, “আজও চট্টগ্রামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এসব ঘটনা কাকতালীয় নয় এবং জাতিকে চিন্তিত করে তুলছে।”
রিজভী দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে একটি মহল সক্রিয় থাকার পাশাপাশি ভারতও বিভিন্ন সময়ে সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে সেই চেষ্টাকে সহযোগিতা করেছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারত চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল সরকার আসুক, বরং অবৈধ সরকারকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।”
২০১৪ সালের নির্বাচনে বড় কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “ভারতের কূটনীতিকেরা সেই সময় এরশাদকে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করানোর চেষ্টা করেছিলেন, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।”
তিনি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। “ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি ‘মবক্রেসি’ হয়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়,” যোগ করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ।
রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/জেড.এস
