ATN
শিরোনাম
  •  

বহু স্রোতের মোহনা একটিই, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা: আলী রীয়াজ

         
বহু স্রোতের মোহনা একটিই, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা: আলী রীয়াজ

বহু স্রোতের মোহনা একটিই, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, আমাদের মতের পার্থক্য থাকবে, পথের পার্থক্য থাকবে কিন্তু এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বহু স্রোত যেন মোহনায় এসে মেলে যেন আমরা বলতে পারি যে আমাদের অনেক স্রোত কিন্তু মোহনা একটি- সেটি হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা। আমাদের বহু স্রোত, তবু আমরা সকলে এক জায়গায় যেকোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই দাঁড়িয়ে থাকবো।

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত ‌‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের মতের পার্থক্য থাকবে, পথের পার্থক্য থাকবে কিন্তু এক জায়গায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বহু স্রোত যেন মোহনায় এসে মেলে যেন আমরা বলতে পারি যে আমাদের অনেক স্রোত কিন্তু মোহনা একটি- সেটি হচ্ছে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা। আমাদের বহু স্রোত, তবু আমরা সকলে এক জায়গায় যেকোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই দাঁড়িয়ে থাকবো।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই দিন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি অভূতপূর্ব এবং অনন্য সময়। একটি ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এটি হচ্ছে আমাদের দীর্ঘ পথ যাত্রার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। এই জাতীয় সনদ কেবলমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি নয়। এ হচ্ছে নাগরিকের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর এবং রাষ্ট্রের একটি সামাজিক চুক্তি। এই সামাজিক চুক্তি এই যে প্রত্যাশা এর প্রত্যেকটি বিষয়ের মধ্যে জড়িত আছে বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামের, তাদের কষ্টের, তাদের প্রচেষ্টার প্রত্যেকটি বিন্দু যুক্ত আছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, গত বছরের জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা প্রাণ দিয়েছেন, যারা আহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের অবদানের মধ্য দিয়ে এই সনদ তৈরি হয়েছে। জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান দীর্ঘদিনের রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা তার প্রতিফলন। বাংলাদেশে গত ১৬ বছর ধরে যে ফ্যাসিবাদী শাসন তৈরি হয়েছিল তার বিরুদ্ধে যে সাহসিকতা, যে দৃঢ়তা বাংলাদেশের নাগরিকরা দেখিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যার সূচনা, যা এক দফা দাবিতে পরিণত হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করতে পেরেছে সেই অর্জনের একটি স্মারক হচ্ছে এই জাতীয় সনদ।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, আমরা মনে করি, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আমাদের যে চেষ্টা, সকলের যে চেষ্টা, সে চেষ্টা থেকে একদিনে সাফল্য অর্জন করবে। একটি দলিল কেবলমাত্র সেটা নিশ্চয়তা দেবে না। আমরা আশা করি এই যে জাতীয় দলিল তৈরি হয়েছে তার বাস্তবায়ন ঘটবে। দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন ঘটবে। নাগরিকদের মতামতের মধ্য দিয়ে এই দিকনির্দেশক বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে পরিচালনা করবে।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ