চাকসু নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে শিবির, এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীর জয়
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চাকসু নির্বাচনে ভিপি-জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীরা। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী জয় পেয়েছেন এজিএস পদে। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদের মধ্যে ২৪টিতে জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেল-সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট।
প্রত্যাশা ছিল দ্রুত শেষ হবে ভোট গণনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল, চাকসুর এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার অভিজ্ঞতা, অন্তত ডাকসু বা জাকসুর মতো হবে না। তবে রাত গভীর হলেও শেষ হয় না প্রতিক্ষার প্রহরণ এক পর্যায়ে বাইরে অবস্থান করা শিক্ষার্থী অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হয়। সাড়ে চারটার দিকে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। একে একে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-চাকসুর পঞ্চম নির্বাচনে ভিপি-জিএস পদে জয়ী হয়েছিলো ইসলামী ছাত্রশিবির। ৪৪ বছর পর চাকসুর সপ্তম নির্বাচনে সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটালো এই ছাত্র-সংগঠনটি।
সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। জিএস পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। ছাত্রশিবিরের উপর আস্থা রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
কেন্দ্রীয় সংসদের শীর্ষ দুই পদে শিবিরের প্রার্থীদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা। ভিপি পদে ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৩ ভোট। জিএস পদে ২ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত হোসেন। ভোট বর্জন না করলেও চাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন এই দুই প্রার্থী।
৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না। এই দুই প্যানেলের বাইরে সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ক্রীড়াবিদ তামান্না মাহবুব প্রীতি।
এদিকে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে বুধবার বিকেলেই ভোট বর্জন করে বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট সমর্থিত প্যানেলসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী। রাতে ভোট গণনা চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী ও অতীশ দীপঙ্কর হলের ফলাফলকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন আহত হন।
রিপোর্ট : আ/টুবন
প্রত্যাশা ছিল দ্রুত শেষ হবে ভোট গণনা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল, চাকসুর এই নির্বাচনের ফল ঘোষণার অভিজ্ঞতা, অন্তত ডাকসু বা জাকসুর মতো হবে না। তবে রাত গভীর হলেও শেষ হয় না প্রতিক্ষার প্রহরণ এক পর্যায়ে বাইরে অবস্থান করা শিক্ষার্থী অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে স্লোগান দিতে থাকেন।
অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হয়। সাড়ে চারটার দিকে আসে সেই মহেন্দ্রক্ষণ। একে একে বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-চাকসুর পঞ্চম নির্বাচনে ভিপি-জিএস পদে জয়ী হয়েছিলো ইসলামী ছাত্রশিবির। ৪৪ বছর পর চাকসুর সপ্তম নির্বাচনে সেই ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটালো এই ছাত্র-সংগঠনটি।
সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি ভোটে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। জিএস পদে ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব। ছাত্রশিবিরের উপর আস্থা রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
কেন্দ্রীয় সংসদের শীর্ষ দুই পদে শিবিরের প্রার্থীদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা। ভিপি পদে ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৩ ভোট। জিএস পদে ২ হাজার ৭২৪ ভোট পেয়েছেন ছাত্রদলের শাফায়াত হোসেন। ভোট বর্জন না করলেও চাকসু নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন এই দুই প্রার্থী।
৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে এজিএস পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না। এই দুই প্যানেলের বাইরে সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ক্রীড়াবিদ তামান্না মাহবুব প্রীতি।
এদিকে নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে বুধবার বিকেলেই ভোট বর্জন করে বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব স্টুডেন্ট ফ্রন্ট সমর্থিত প্যানেলসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী। রাতে ভোট গণনা চলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী ও অতীশ দীপঙ্কর হলের ফলাফলকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি অবস্থান নেয় ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বাইরে দুই পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন আহত হন।
রিপোর্ট : আ/টুবন
