ATN
শিরোনাম
  •  

জুলাই অভ্যুত্থানে ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা জোরদারে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

         
জুলাই অভ্যুত্থানে ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা জোরদারে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জুলাই অভ্যুত্থানে ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা জোরদারে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম জোরদারে ‘ওয়েলবিইং প্রকল্প’-এর উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।

কর্মশালার প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান।

জুলাই শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকতের পিতা মাহবুবুর রহমান বশির কর্মশালায় বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে।" তিনি অভ্যুত্থান ভুক্তভোগীদের যথাযথ চিকিৎসা এবং যাদের দেশে চিকিৎসা সম্ভব নয়, তাদের বিদেশে পাঠানোর দাবি জানান।

এইচআরডিসি (হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার) ও এনআইএমএইচ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে ডিগনিটির সহযোগিতায় এবং ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ড্যানিডা)-এর আর্থিক সহায়তায়।

এইচআরডিসির সচিব ও প্রধান নির্বাহী মোঃ মাহবুল হক কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সংস্থাটির পরিচালক মোঃ জিয়ানুর কবির অভ্যুত্থানের মানসিক প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক দূতাবাসের উপ-প্রধান অ্যান্ডার্স কার্লসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নিরাময়ের যাত্রায় ডেনমার্ক গর্বের সঙ্গে অংশীদার হতে চায়।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আবু জাফর জানান, ‘জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান ও নিটোর-এর সহায়তায় ৪০ জন অভ্যুত্থান ভুক্তভোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি এই উদ্যোগের জন্য এইচআরডিসিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতেও সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কামাল আকবর বলেন, ‘যদিও বর্তমানে সীমিত সংখ্যক ভুক্তভোগীর সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে, তবে ১২,৪৫৪ জন ভুক্তভোগীর মানসিক আঘাত থেকে পুনর্বাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।’

তিনি সমস্যাগুলোর গভীরে পৌঁছাতে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান।

শহীদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা এবং ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সামসি আরা জামান বলেন, ‘মানসিক অসুস্থতাকে লজ্জার কিছু নয়। এও এক ধরনের শারীরিক অসুস্থতা, যার যথাযথ চিকিৎসা প্রয়োজন।’

তিনি এইচআরডিসি ও ফাউন্ডেশনের মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেন।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সিভিল সোসাইটি ও এনজিও প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে ছিলেন: জেনা দেরাখশানি হামাদানি (আইসিবিবিআর,ডি), সুমাইয়া তাসনিম (সোচ্চার), ফরহাদ হোসেন (লিডো), মোঃ মাসুদ রানা সৌরভ (জুলাই যোদ্ধা সংসদ), আমিনুর রসুল (পিএইচএম), ও মোঃ আনোয়ার হোসেন (পরিচালক ও যুগ্ম সচিব, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো)।

তারা সকলেই অধিকারভিত্তিক ও ভুক্তভোগী-কেন্দ্রিক পুনর্বাসন, মানসিক সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদি যত্ন নিশ্চিত করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালাটি ‘ওয়েলবিইং প্রকল্প’ বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করে, যা আগামী দিনে জুলাই অভ্যুত্থান ভুক্তভোগীদের মানসিক, সামাজিক এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত চাহিদা পূরণে যৌথ ও কার্যকর উদ্যোগকে উৎসাহিত করবে।

রিপোর্ট : এটিএন নিউজ/মা.ই.স
পাঠকের মন্তব্য

সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ সংবাদ


অন্যান্য সংবাদ